যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস শহরের স্টারবার্কস নামে একটি কফি শপে হিজাব পড়ে যাওয়ায় এক নারী হামলা করেছে বলে একটি টুইট করেছেন নুর আশোর নামে এক মুসলিম নারী।
এমন টুইটের পর এটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এরপরই মুসলিম সমাজকর্মীরা ও বিভিন্ন ইসলামি সংগঠন এ নিয়ে তদন্ত করার দাবি জানিয়েছে।
নুর আশোর বলেন, ওই নারী অকথ্য এবং শারীরিকভাবে হামলা চালিয়েছে। এ সময় কেউ সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেনি।
এক টুইট বার্তায় তিনি বলেন, আজ আমি হিজাব পড়ায় টেক্সাসে নারীর দ্বারা নিগৃহীত হয়েছি। স্টারবাকর্সে এটি দুঃখজনক ঘটনা। একজন দোকানকর্মী বা ক্রেতা তার উদ্দেশে একটি শব্দও উচ্চারন করেনি। সে আমার মুখে কিছু ছুড়ে মারে এবং বলে ভয়ঙ্কর জিনিস। আমি নিশ্চিত করছি তার কর্মকাণ্ড ভিন্ন ছিল।
আশোয়ার বলেন, ধারাবাহিক টুইটে এটি ভাইরাল হয়েছে। এতে ২ লাখ লাইক ও ৬০ হাজার কমেন্ট পড়েছে।
আশোয়ার উল্লেখ করেন হামলার সময় তার সঙ্গে তিন বছরের শিশু ও ৮ মাসের একটি সন্তান ছিল। তিনি দৌঁড়ে নিরাপত্তাকর্মীর কাছে যান। কিন্তু আশোয়ার বিরুদ্ধে নিরাপত্তাকর্মীর কাছে হামলাকারী নারী আগেই বলেন, আমি জানি না তার সমস্যা কী? সে কিছু জিনিস আমার মুখে ছুঁড়ে মেরেছে।
আশোর অন্য একটি নারীকে ডেকে বললেন- সে একজন ‘মিথ্যাবাদী’ এবং তিনি ভয় পেয়ে কেঁদে ফেলেন।
এক বিবৃতিতে কাউন্সিল অব আমেরিকা ইসলামিক রিলেশনসের প্রধান একরাম হক বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে ঘৃণিত অপরাধ (হেট ক্রাইম) বেড়ে চলছে।
এর আগে এ বছরের শুরুতে অন্য একজন নারী ডালাসে হামলার শিকার হয়েছেন। এর কারণ ছিল তিনি একজন মুসলিম।
সূত্র: ইয়েনি শাফাক।