যেভাবে উদ্ধার হলেন সোহেল তাজের ভাগনে

মত ও পথ প্রতিবেদক

সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজের ভাগনে উদ্ধার
তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ ও সৈয়দ ইফতেখার আলম সৌরভ

চট্টগ্রাম থেকে নিখোঁজের ১১ দিন পর সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজের ভাগনে সৌরভকে ময়মনসিংহ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের দাবি, অপহরণকারীরা তাকে ফেলে রেখে যায়

সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার নিজ কার্যালয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তবে কে বা কারা তাকে অপহরণ করেছিলো সে বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কিছুই জানাতে পারেননি তিনি।

universel cardiac hospital

এর আগে, ভোরে ফেসবুক লাইভে এসে ভাগ্নে উদ্ধার হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করে সোহেল তাজ।

পুলিশ জানায়, আজ বৃহস্পতিবার ভোর ৬টার দিকে তারাকাণ্দার বটতলা এলাকার একটি রাইস মিলের সামনে থেকে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজের ভাগনে সৌরভকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারের পর ময়মনসিংহ পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল তাকে পুলিশ সুপারের বাংলোতে নেয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সেখান থেকে কড়া নিরাপত্তায় একটি মাইক্রোবাসে কোরে তাকে ঢাকায় পরিবারের কাছে পাঠানো হয়।

সকাল ৮টার পর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে উপস্থিত গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে বিষয়টি খোলাসা করেন জেলা পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তা শাহ আবিদ হোসেন। তবে কে বা কারা তাকে অপহরণ করেছিলো সে বিষয়ে তাৎক্ষণিক কিছুই জানাতে পারেননি তিনি।

ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার শাহ আবিদ হোসেন বলেন, ‘সে বর্তমানে সুস্থ আছে। এর বেশি বলতে পারছি। সে শুধু জানিয়েছে তাকে আটকে রাখা হয়েছিল।’

এদিকে, অপহরণের ১১ দিন পর নিখোঁজ ভাগনে উদ্ধার হওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজ। নিজ ফেইসবুক পেইজের লাইভে এসে সৌরভের উদ্ধারের বিষয়টি জানান তিনি।

সোহেল তাজ বলেন, ‘ও এখন নিরাপদ আছে। পুলিশ প্রহরায় ওকে এখন আমাদের কাছে নিয়ে আসা হচ্ছে। পুলিশ প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানায়।’

প্রসঙ্গত, গত ৯ জুন চট্টগ্রাম থেকে অপহৃত হন সোহেল তাজের ভাগনে সৌরভ। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে গত মঙ্গলবার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সৌরভের বাবা-মা জানান, ১৬ মে বনানীর একটি বাসা থেকে র‍্যাব-১ পরিচয়ে সৌরভকে একদল লোক তুলে নিয়ে যায়। তাঁরাই দ্বিতীয় দফা অপহরণের সঙ্গে জড়িত। অপহরণের প্রথম থেকে র‍্যাব-পুলিশ ছাড়াও তাঁরা দুটি গোয়েন্দা সংস্থার যুক্ত থাকার কথা বলছেন। তাঁদের অভিযোগ, সৌরভের ব্যক্তিগত একটি সম্পর্কের জের ধরে তাঁকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।

গতকাল বুধবার দুপুরের দিকে ফেসবুক লাইভে সোহেল তাজ বলেন, মঙ্গলবার রাত ২টা ২০ মিনিটে সৈয়দ ইফতেখার আলম সৌরভের ফোন নম্বর থেকে তাঁর মায়ের নম্বরে ফোন এসেছিল। লাইভে তাঁর সঙ্গে ছিলেন সৌরভের মা সৈয়দা ইয়াসমিন আরজুমান ও বাবা মো. ইদ্রিস আলী। তাঁর প্রশ্নের জবাবে সৌরভের বাবা-মা বলেন, রাত ২ টা ২০ মিনিটে হোয়াটস অ্যাপ থেকে সৌরভের মা ইয়াসমিনের নম্বরে ফোন আসে। কিন্তু অন্য প্রান্ত থেকে কেউ কথা বলেনি। ছিল সুনসান নীরবতা। নম্বরটি খোলা আছে এবং অনবরত তাঁরা সৌরভের নম্বরে ফোন করলেও কেউ ধরছেন না। তাঁরা খুদে বার্তাও পাঠিয়েছেন। এ বিষয়ে চট্টগ্রামের উপকমিশনার (অপরাধ বিষয়ক), গোয়েন্দা বিভাগ (উত্তর) , উপকমিশনার (কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম) ও পাঁচলাইশ থানাকে তাঁরা জানিয়েছেন।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে