ভারতের উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য হিমাচল প্রদেশে যাত্রীবাহী বাস খাদে পড়ে অন্তত ৪৪ জন নিহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার কুল্লু জেলার পাহাড়ি রাস্তায় এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
প্রাথমিকভাবে নিহতের সংখ্যা ১৯ বলা হলেও, কর্তৃপক্ষ পরে আহতদের মধ্যে আরও ২৫ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে।
বানজার থেকে গাড়াগুসানির দিকে রওনা দেওয়া বাসটিতে যাত্রীর সংখ্যা অন্তত ৬০ ছিল বলে জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো।
যাত্রীদের অনেকেই বাসটির ছাদে বসে গন্তব্যে যাচ্ছিলেন বলেও দাবি প্রত্যক্ষদর্শীদের।
নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যাই বেশি; তাদের বেশিরভাগই কাজ শেষে কিংবা স্কুল থেকে ফিরছিলেন বলে কুল্লুর পুলিশপ্রধান শালিনি অগ্নিহোত্রী জানিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি যাত্রী নিয়ে দ্রুতগতিতে চলা বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারানোর পর ধারালো ও খাড়া বাঁক থেকে গড়িয়ে ৫০০ ফুট নিচের গভীর গিরিখাতে পড়ে যায়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও স্থানীয় গণমাধ্যমের ছবিতে দুমড়ে মুচড়ে পড়ে থাকা বাসটির পাশে স্বেচ্ছাসেবক ও জরুরি বিভাগের কর্মীদের উদ্ধার কাজ চালাতে দেখা গেছে।
হতাহতদের বেশিরভাগই কুল্লুর বাসিন্দা, জানিয়েছে এনডিটিভি।
জেলা প্রশাসন নিহত ও আহতদের পরিবারপ্রতি ৫০ হাজার রুপি তাৎক্ষণিক সাহায্য দেওয়ারও ঘোষণা দিয়েছে।
দুর্ঘটনা ও প্রাণহানিতে গভীর দুঃখ পাওয়ার কথা জানিয়ে টু্ইট করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
- আরও পড়ুন, যুক্তরাষ্ট্রের মুসলিম নারীর টুইট ভাইরাল
ভারতে সড়ক দুর্ঘটনার ঘটনা নিত্যনৈমিত্তিক। ২০০৯ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত কেবল হিমাচল প্রদেশেই ৩০ হাজারের বেশি দুর্ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে।
এসব দুর্ঘটনায় ১১ হাজারেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া; আহতের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে ৫০ হাজার।