সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন সভাপতি ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এম হাফিজ উদ্দিন খান ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটকে ‘ভারসাম্যহীন’ বলে মন্তব্য করেছেন। কতিপয় কিছু গোষ্ঠীকে বাজেটে অধিক সুবিধা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আজ শুক্রবার বাজেট ২০১৯-২০ নাগরিক ভাবনা নিয়ে সুজন আয়োজনে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
গোলটেবিল বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, সুজনের সাধারণ সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, সহ-সম্পাদক জাকির হোসেন, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি প্রমুখ।
বৈঠকে সুজন সভাপতি বলেন, সরকার কিছু গোষ্ঠীকে অতিরিক্ত সুবিধা দিচ্ছেন এবং এমন অনেক খাত আছে যাতে কোনো বরাদ্দই থাকছে না। বাজেটের মধ্যে যে একটা অসমতা আছে সেটি স্পষ্ট লক্ষ্য গেছে।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ থেকে প্রচুর অর্থ পাচার হয়ে বিদেশে চলে যাচ্ছে। ফলে আমাদের অর্থনীতির উপর চাপ বাড়ছে। আমাদের কৃষকরা ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন না তাই কৃষিখাতে বরাদ্দের পরিমাণ বৃদ্ধি ও স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দের পরিমাণ বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়।
বাংলাদেশের কৃষিতে এখন উৎপাদন কম ও ব্যয় বেশি ৷ এতে লাখো কৃষক আজ হতাশাগ্রস্ত। তারা ধান চাষ করে মাঠেই পুড়িয়ে দিচ্ছেন কারণ তারা ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না। অথচ আমাদের দেশেই যেই পরিমাণ ধান চাষ হয় সেগুলোকে চাল বানিয়ে দেশের মানুষের প্রয়োজন পূরণ করে রফতানি করাও যাবে। কিন্তু আমরা নিজেদের কৃষকদের ধানে মনোযোগ না দিয়ে কোটি কোটি টাকা খরচ করে বাইরে থেকে চাল আমদানি করছি। অথচ আমরা নিজেরাই ধান ও চালে স্বয়ংসম্পূর্ণ।
- বিশ্বকাপ শেষে ৫ দলের অধিনায়কে পরিবর্তন!
- তিউনিসিয়া থেকে দেশে ফিরলেন সাগরে ভাসা ১৭ বাংলাদেশি
- বাংলাদেশে সিজারের ৭৭ শতাংশই ‘অপ্রয়োজনীয়’
এ সময় বক্তরা দেশের উন্নয়ন ধারা অব্যাহত রাখার তাগিদ দিয়ে বলেন, আমাদের দেশে দরিদ্রের পরিমাণ কমছে। আগে যেখানে ৪০ শতাংশের বেশি ছিল দরিদ্রতার হার সেখানে এখন ২৯ শতাংশে নেমে এসেছে। এই উন্নয়নের ধারাবাহিকতা আমাদের বজায় রাখতে হবে।