বিশ্বিবদ্যালয় প্রশাসনের আশ্বাসের পরিপেক্ষিতে সাত দিন পর ক্লাসে ফিরেছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার মধ্যরাতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে লিখিত আশ্বাস পাওয়ার পর শনিবার সকাল থেকে ক্লাসে ফেরার সিদ্ধান্ত নেন তারা।
গত কয়েকদিন ধরে ছাত্রকল্যাণ দপ্তরের নবনিযুক্ত পরিচালককে অপসারণ ও সাবেকুন নাহার সনির নামে ছাত্রী হলের নামকরণ করাসহ ১৬ দফা দাবিতে আন্দোলন করছিলেন বুয়েটের শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনের মুখপাত্র মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শেষ বর্ষের ছাত্র হাসান সারোয়ার সৈকত শনিবার থেকে ক্লাসে ফেরার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
১৬ দফা দাবিগুলো হলো- বুয়েট গেটের জন্য সিভিল-আর্কিটেকচার ডিপার্টমেন্টের বিশেষজ্ঞ শিক্ষকদের নিয়ে কমিটি গঠন ও ডিজাইনের জন্য ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে প্রতিযোগিতা আয়োজন করার অফিসিয়াল নোটিস প্রদান; বিতর্কিত নতুন ডিএসডব্লিউ (ছাত্রকল্যাণ পরিচালক) অপসারণ করে ছাত্রবান্ধব ডিএসডব্লিউ নিয়োগ; ছাত্রী হলের নাম ‘সাবেকুন নাহার সনি হল’ নামকরণ; শিক্ষার্থীদের ১০৮ ক্রেডিট অর্জনের পর ডাবল সাপ্লিমেন্ট পুনর্বহাল; ভিসি অফিসে আটকে পড়া বিভিন্ন আবাসিক হলের অবকাঠামোগত কাজ সম্পাদন; ‘সিয়াম-সাইফ’ নামে সুইমিংপুল কমপেল্গপ স্থাপনে ভিসির স্বাক্ষরসহ নোটিস; নির্মাণাধীন টিএসসি ভবন ও ন্যাম ভবনের কাজ শুরু করা; নিয়মিত শিক্ষক মূল্যায়ন প্রোগ্রাম চালু; বুয়েটের যাবতীয় লেনদেনে ডিজিটাল পদ্ধতি চালু; নির্বিচারে ক্যাম্পাসের গাছ কাটা বন্ধ ও যতগুলো গাছ কাটা হয়েছে তার দ্বিগুণ গাছ উপাচার্যের উপস্থিতিতে লাগানো; গবেষণায় বরাদ্দ বৃদ্ধি; প্রাতিষ্ঠানিক মেইল আইডি প্রদান; ওয়াইফাই আধুনিকায়ন; ব্যায়ামাগার আধুনিকায়ন; বুয়েট মাঠের উন্নয়ন ও পরীক্ষার খাতায় রোলের পরিবর্তে কোড সিস্টেম চালু করা।
ছাত্রছাত্রীরা জানান, গত ২২ মে বুয়েটের ছাত্রকল্যাণ দপ্তরে নতুন পরিচালক পদে নিয়োগ পান কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক আবুল কাশেম মিয়া। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ওই পদটিতে নতুন নিয়োগে স্বচ্ছতা ছিল না, নিয়োগটি হয়েছে তড়িঘড়ি করে।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, অধ্যাপক কাশেমের আগে পদটিতে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক সত্যপ্রসাদ মজুমদার ওই পদ থেকে সরেননি, তাকে সরানো হয়েছে।