দলকে শক্তিশালী করে খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন বেগবান করতে জেলায় জেলায় সাংগঠনিক কমিটি পুনর্গঠনের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। দলের কাউন্সিলের প্রস্তুতি হিসেবে এ কার্যক্রম বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শনিবার সকাল ১১টার দিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির নতুন সদস্য সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুকে সঙ্গে নিয়ে রাজধানীর শের-ই-বাংলা নগরে দলের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা নতুন স্থায়ী কমিটির সদস্যদের নিয়ে আবার শপথ গ্রহণ করেছি যে, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবং গণতন্ত্রের মুক্তির আন্দোলনকে আরো বেগমান করবো। অবিলম্বে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের যে প্রতিনিধি তা নির্বাচন করতে হবে।
তিন বছর মেয়াদী কাউন্সিলের সময়সীমা অতিক্রম হওয়ার পর স্থায়ী কমিটির পুনর্গঠন করার কারণ জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের স্থায়ী কমিটির সদস্যদের যেকোনো সময় নিয়োগ দেওয়া ও নির্বাচিত করা যায়। এ বিধান রয়েছে। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের চেয়ারপারসনের অনুপস্থিতিতে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও স্থায়ী কমিটির গুরুত্বপূর্ণ সদস্যরা প্রয়োজন হলে স্থায়ী কমিটিতে সদস্য মনোনয়ন দিতে এবং নির্বাচিত করতে পারবেন। এ ক্ষমতা তাদের দেওয়া হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় আমরা শূন্যপদগুলোতে আমাদের প্রবীণ নেতা, যারা ইতোমধ্যে দলের মধ্যে দীর্ঘকাল অবদান রেখেছেন এবং নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেছেন তাদের নিযুক্ত করছি।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, আমাদের অনেকগুলো পদ শূন্য রয়েছে। ফাঁকা পদগুলো প্রয়োজনে যথাসময়ে পূরণ করা হবে।
এসময় নবনিযুক্ত স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, আমাদের অভিজ্ঞতা দিয়ে স্থায়ী কমিটিতে প্রস্তাবগুলো রাখবো। আমরা আন্দোলন সংগ্রামে ছিলাম, এখনো আছি। গণতন্ত্র এবং খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন ও সংগ্রাম ত্বরান্বিত করার জন্য আমাদের একীভূত ভূমিকা থাকবে।
স্থায়ী কমিটির অপর সদস্য সেলিমা রহমান বলেন, আমরা তৃণমূল পর্যায়ে রাজনীতি করে এসেছি। এখন আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা। আমরা স্থায়ী কমিটিতে এমন কিছু কর্মসূচি নির্ধারণ করবো, যাতে আমাদের দল সংগঠিত থাকে এবং ঐক্যবদ্ধ থাকে।
শ্রদ্ধা জানানোর সময় আরো উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, আব্দুল মান্নান তালুকদার, গ্রাম সরকার বিষয়ক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম শিশির, সহ-প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলিম প্রমুখ।