বিএনপি আন্দোলনের কথা বারবার বলে বেড়াচ্ছে। বিএনপির যদি সেই সক্ষমতা থাকে, সাহস থাকে, আন্দোলন করে দেখাক। ১০ বছরে তো ১০ মিনিটের একটি আন্দোলনও দেখা যায়নি বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
রাজধানীর ধানমণ্ডিতে শনিবার দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকেদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে আন্দোলন সংগ্রামকে আরও বেগবান করা হবে, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে যাবে বিএনপি—মির্জা ফখরুল ইসলামের এমন বক্তব্যের জবাব ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির গণতন্ত্র স্ববিরোধিতায় পরিপূর্ণ। আন্দোলন কী করবে? মির্জা ফখরুল নিজেই নির্বাচনে জয়ী হয়ে সংসদে যোগ দিলেন না, অথচ সেই আসনে পুনর্নির্বাচনে প্রার্থী দিলেন। এটি কোন গণতন্ত্র? এটি কি গণতন্ত্র?
সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, বিএনপির পাঁচজন সংসদে যোগ দিলেন, সংরক্ষিত মহিলা আসনে নির্বাচিত হলেন, শপথ নিলেন। কিন্তু দলের মহাসচিব সংসদে যোগ দিলেন না, এই দ্বৈতনীতি তাদের দলে। এটি কি ধরনের গণতন্ত্র? এই গণতন্ত্র হাস্যকর।
বিএনপির সপ্তম জাতীয় সম্মেলনের প্রস্তুতি নেওয়ার বিষয়ে সাংবাদিকেরা দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির যেভাবে জন্ম, বিএনপির যেভাবে বিকাশ—বিএনপি তাদের গঠনতন্ত্র থেকে ৭ ধারা বাদ দিয়ে প্রমাণ করেছে তারা আত্মস্বীকৃত দুর্নীতিবাজ দল।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বাহাউদ্দিন নাছিম, এ কে এম এনামুল হক শামীম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, ত্রাণ ও দুর্যোগবিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী প্রমুখ।