বিএনপির কারাবন্দি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে দলটি মাসব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এ কর্মসূচির আওতায় দেশের সব বিভাগীয় শহরে মিছিল ও সমাবেশ করবে দলটি।
শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে স্থায়ী কমিটির বৈঠক শেষে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সরকার উদ্দেশ্যমূলকভাবে বাধা দিয়ে খালেদা জিয়ার জামিন বিলম্ব করছে অভিযোগ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, দেশনেত্রীর মুক্তির দাবি আরও বেগবান করার জন্য কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে দেশের সব বিভাগীয় সদরে কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে। এসব কর্মসূচিতে জাতীয় নেতারা উপস্থিত থাকবেন।
কোন ধরনের কর্মসূচি দেয়া হবে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, সমাবেশ, মিছিলসহ অন্যান্য যে গণতান্ত্রিক কর্মসূচি হতে পারে সেগুলো পালন করা হবে।
স্থায়ী কমিটির বৈঠকে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান স্কাইপে যুক্ত ছিলেন। এ ছাড়া বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, লে. জে. (অব.) মাহবুবুর রহমান, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, নতুন দুই সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও সেলিমা রহমান।
- লড়াই করেও জিততে পারল না আফগানিস্তান
- জাতীয় পার্টি এখন অনেক শক্তিশালী : জিএম কাদের
- চলতি অর্থবছরে রেমিট্যান্স এসেছে ১৫ হাজার মিলিয়ন ডলার
প্রসঙ্গত, দুর্নীতির মামলায় আদালতে সাজা পেয়ে গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে আছেন বেগম খালেদা জিয়া। তার মুক্তির দাবিতে শুরু থেকেই নানা কর্মসূচি পালন করে আসছে বিএনপি। শান্তিপূর্ণ এসব কর্মসূচি গত নির্বাচনের আগে থেমে যায়। বেশ কিছুদিন ধরে নেতারা বলে আসছিলেন শিগগিরই খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।