দুধ ও দই বাজারজাত : লাইসেন্সবিহীন কোম্পানির তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট

আদালত প্রতিবেদক

ঢাবি শিক্ষকদের রিপোর্টের দায় নিচ্ছে না ফার্মেসি বিভাগ
ফাইল ছবি

হাইকোর্ট লাইসেন্সবিহীন যেসব কোম্পানি পাস্তুরিত দুধ ও দই বাজারজাত করছে তাদের নামের তালিকা চেয়েছেন। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে ওই তালিকা আদালতে দাখিল করতে বিএসটিআইকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কেএম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ আজ রোববার এই আদেশ দেন।

একইসঙ্গে দুধ ও দইয়ের ওপর বিএসটিআইয়ের ল্যাব পরীক্ষা সংক্রান্ত প্রতিবেদন এ সময়ের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে সরকারি ওই সংস্থাকে বলা হয়েছে।

বিএসটিআইয়ের আইনজীবীর উদ্দেশ্যে আদালত বলেন, মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলার অধিকার আপনাদের কে দিয়েছে? লাইসেন্স নেই অথচ দুধ বাজারজাত করছে, এটা দেখার দায়িত্ব কার?

সংস্থার আইনজীবী সরকার এমআর হাসান বলেন, পাস্তুরিত দুধ ও দই বাজারজাত করণের জন্য ১৮টি প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স দিয়েছে বিএসটিআই। লাইসেন্সকৃত কোম্পানিগুলো মান বজায় রেখে দুধ বাজারজাত করছে কিনা সেটা দেখার দায়িত্ব আমাদের। এর বাইরে যারা দুধ বাজারজাত করে তা দেখার দায়িত্ব আমাদের নয়। এটা দেখবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়।

আদালত বলেন, লাইসেন্স যেগুলোকে দিয়েছেন সেগুলো নজরদারির মধ্যে রাখতে পারলে লাইসেন্সবিহীনগুলোও দেখার দায়িত্ব আপনাদের। যদি তা না হয় তাহলে এই বক্তব্য হলফনামা আকারে দাখিল করতে হবে আপনাকে।

এ পর্যায়ে রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিনউদ্দিন মানিক বলেন, আইনে বিএসটিআইকে ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। কিন্তু দায়িত্ব এড়িয়ে অন্যের ওপর দায় চাপাচ্ছেন। এজন্য আদালতকে কঠোর হতে হবে।

তখন বিএসটিআইয়ের আইনজীবী আদালতকে বলেন, বেআইনিভাবে যারা দুধ ও দই বাজারজাত করছে তাদের পণ্য ধ্বংস করার আদেশ দিন।

আদালত বলেন, আপনারা স্ব-বিরোধী কথা বলছেন। একটু আগে বললেন, দেখার দায়িত্ব আপনাদের না। এখন আবার ধ্বংস করার আদেশ চাচ্ছেন। এসব বাদ দিন। আগে আপনারা তালিকা দাখিল করুন। বাকিটা আদালত দেখবে।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে