পাকিস্তান হারিস সোহেলের ঝড়ো ব্যাটিং ও বাবর আজমের দৃষ্টিনন্দন এক ইনিংসের সুবাদে ৩০৮ রানের বড় সংগ্রহ পেয়েছে। জয়ের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার লক্ষ্য ৩০৯ রান। লুঙ্গি এনগিডি তিনটি ও ইমরান তাহির দুটি উইকেট তুলে নিয়েছেন।
এর আগে আজ রোববার ইংল্যান্ডের লর্ডসে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন পাকিস্তানের অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে দারুণ শুরু করেন দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ফখর জামান ও ইমাম উল হক। দলীয় ৮১ রানে প্রথম উইকেটের পতন হয় পাকিস্তানের। ব্যক্তিগত ৪৪ রানে ইমরান তাহিরের বলে হাশিম আমলার হাতে ক্যাচ দেন ফখর জামান।
আরেক উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ইমাম উল হকও ব্যক্তিগত ৪৪ রানে ইমরান তাহিরের শিকার হলে ৯৮ রানে দুই উইকেট হারায় পাকিস্তান। দলীয় ১৪৩ রানের মাথায় মোহাম্মদ হাফিজ আউট হলেও একপ্রান্ত আগলে রাখেন বাবর আজম। ব্যক্তিগত ৬৯ রান করে বাবর যখন সাজঘরে ফেরেন, ততক্ষণে পাকিস্তানের সংগ্রহ ২২৪ রান।
- ওমরাহ ভিসা স্থগিত
- বঙ্গবন্ধুর হাত ধরেই স্বাধীনতা এসেছিল : প্রধানমন্ত্রী
- আজ আ.লীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী
এরপর মাঠে নেমেই ঝড়ো গতিতে রান তুলতে থাকেন হারিস সোহেল। তার ৫৯ বলে ৮৯ রানের দানবীয় ইনিংসে ভর করে বড় সংগ্রহ পায় পাকিস্তান। যোগ্য সঙ্গী হিসেবে তাকে সাপোর্ট দিয়েছেন ইমাদ আলী। এদিন পাকিস্তানের টপ ও মিডল অর্ডারের সব ব্যাটসম্যানই রানের দেখা পেয়েছেন।
সেমিফাইনালে যাওয়ার সুযোগ দক্ষিণ আফ্রিকার চেয়ে একটু হলেও বেশি পাকিস্তানের। এর জন্য বাকি চারটা ম্যাচের সবগুলোতেই জিততে হবে। সেটা হয়ে গেলে হয়তো ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপের পর নতুন একটা বিস্ময়ই সৃষ্টি করবে পাকিস্তানের এবারের বিশ্বকাপ দলটি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
পাকিস্তান ইনিংস: ৩০৮/৭ (৫০ ওভার)
(ফখর জামান ৪৪, ইমাম-উল-হক ৪৪, বাবর আজম ৬৯, মোহাম্মদ হাফিজ ২০, হারিস সোহেল ৮৯, ইমাদ ওয়াসিম ২৩, ওয়াহাব রিয়াজ ৪, সরফরাজ আহমেদ ২*, শাদব খান ১*; কাগিসো রাবাদা ০/৬৫, লুঙ্গি এনগিদি ৩/৬৪, ক্রিস মরিস ০/৬১, আন্দিল ফেলুকায়ো ১/৪৯, ইমরান তাহির ২/৪১, এইডেন মার্করাম ১/২২)।