বাংলাদেশে চালু হচ্ছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা পদক

ডেস্ক রিপোর্ট

নিজ নিজ মাতৃভাষা সংরক্ষণ, পুনরুজ্জীবন, বিকাশ, চর্চা, প্রচার-প্রসারে অবদান রাখায় ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা পদক’ দেবে বাংলাদেশ।  

দুই বছর পর পর এই পদক দিতে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট পদক নীতিমালা, ২০১৯’ এর খসড়ায় চূড়ান্ত সায় দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

universel cardiac hospital

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার তার কার্যালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠক হয়।

বৈঠকের পর সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা পদক’ নামে নতুন পদক চালু করা হচ্ছে, একুশে ফেব্রুয়ারিকে সামনে রেখে দুই বছর পর পর এই পদক দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, জাতীয় ক্ষেত্রে দু’টি এবং আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে দু’টি করে মোট চারটি পদক দেওয়া হবে। পদকের মূল্যমান ধরা হয়েছে জাতীয় ক্ষেত্রে চার লাখ টাকা, আর আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে পাঁচ হাজার ডলার। পৃথিবীর বিভিন্ন মাতৃভাষা সংরক্ষণ, পুনরুজ্জীবন, বিকাশ, চর্চা, প্রচার ও প্রসারের জন্য এই পুরস্কার দেওয়া হবে।

এই পদক দিতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের পরিচালকের নেতৃত্বে বাছাই কমিটি থাকবে। এছাড়া শিক্ষামন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি মনোনয়ন কমিটি থাকবে বলেও মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান।

রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে ১৯৫২ সালের যে দিনটিতে বাঙালির রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল রাজপথ, সেই ২১ ফেব্রুয়ারি এখন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালিত হয় সারা বিশ্বে।

১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর ইউনেস্কোর এক ঘোষণায় ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি পায়।

বিকেএসপি আইন অনুমোদন

বাংলাদেশে ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি) আইন, ২০১৯ এর খসড়াও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

সচিব শফিউল জানান, ১৯৮৩ সালের অধ্যাদেশকে আইনে রূপান্তর করা হচ্ছে। প্রস্তাবিত আইনে বোর্ডের সদস্যদের মধ্যে এক তৃতীয়াংশ সদস্য উপস্থিত থাকলে কোরাম হবে, বছরে দুইবার সভা করার বিধান রাখা হয়েছে।

তিনি বলেন, যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রীর দায়িত্বে যিনি থাকবেন তিনি হবেন বোর্ডের চেয়ারম্যান, ২০ সদস্যের পরিষদ হবে, মনোনীত সদস্যদের মেয়াদ হবে তিন বছর।

অধ্যাদেশে অন্যান্য যেসব বিষয় ছিল সেগুলোকে নতুন আইনে আগের মতই রাখা হয়েছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

বাংলাদেশ ও স্পেনের মধ্যে স্বাক্ষরের জন্য উপস্থাপিত সংস্কৃতি, শিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক সহযোগিতা বিষয়ক চুক্তির খসড়া অনুমোদনে এর আগে গৃহীত সিদ্ধান্ত বাতিলের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

শফিউল আলম বলেন, ২০১৪ সালে একটি সিদ্ধান্ত হয় স্পেন সরকার এসব ক্ষেত্রে চুক্তি করতে চায়। পরে স্পেন জানায় তারা শুধু সংস্কৃতি বিষয়ে চুক্তি করতে চায়, শিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক বিষয়ে চুক্তি করবে না।

সংস্কৃতি বিষয়ে স্পেনের সঙ্গে চুক্তিটি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে