সিলেটের সঙ্গে ঢাকা ও চট্টগ্রামের রেল যোগাযোগ সোমবার বিকেল পাঁচটার মধ্যে পুনরায় চালু করার চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছেন রেলসচিব মো. মোফাজ্জেল হোসেন।
গতকাল রোববার রাত ১১.৪৫ মিনিটের দিকে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায় কালভার্ট ভেঙে উপবন এক্সপ্রেসের কয়েকটি বগি খালে পড়ে যাওয়ার ঘটনায় সিলেটের সঙ্গে ঢাকা ও চট্টগ্রামের রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
সকাল নয়টার দিকে কুলাউড়া জংশন রেলস্টেশন থেকে রেলসচিব মোহাম্মদ মোফাজ্জেল হোসেন, রেলের মহাপরিচালক মো. রফিকুল আলমসহ রেলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দুর্ঘটনাস্থলের দিকে রওনা দেন। এর আগে রেলসচিব বলেন, উপবন এক্সপ্রেসের পাঁচটি বগি পড়ে গেছে। এগুলো ওঠাতে দুটি ক্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিকেল পাঁচটার মধ্যে ঢাকা ও চট্টগ্রামের সঙ্গে সিলেটের রেল যোগাযোগ চালুর চেষ্টা চালাবেন।
- আরও পড়ুন >> উপবন দুর্ঘটনা : তদন্তে নেমেছে ৪ সদস্যের কমিটি
রাতে ঘটনাস্থলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার সময় রেলের গতি অনেক বেশি ছিল। অতিরিক্ত গতির কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে কিনা জানতে চাইলে রেলসচিব বলেন, এ দুর্ঘটনার বিষয়ে রেলওয়ের প্রধান মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার (পূর্ব) মিজানুর রহমানকে প্রধান করে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটি অভিযোগটি খতিয়ে দেখবে। কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় সিলেট থেকে ঢাকাগামী উপবন এক্সপ্রেসের বগি লাইনচ্যুত হয়ে এখন পর্যন্ত তিন নারীসহ অন্তত চারজন নিহত হওয়ার খবরের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে। নিহত ব্যক্তিদের লাশ কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় শতাধিক মানুষ আহত।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়ন্ত্রণকক্ষ জানায়, দিবাগত রাত দুইটা পর্যন্ত কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চারটি মৃতদেহ ছিল। এর একটি মস্তকবিহীন। জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৬০ জন। শরীরের বিভিন্ন জায়গায় মারাত্মক আঘাত থাকায় ২০ জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। হতাহত ব্যক্তির সংখ্যা বাড়তে পারে।