পটুয়াখালীর বাউফলে জমির বিরোধ নিয়ে সৃষ্ট সংঘর্ষ থামাতে গিয়েছিল স্থানীয় পুলিশ। এ সময় চোখে মরিচের গুড়া ছিটিয়ে ১০ রাউন্ড গুলিসহ পুলিশের পিস্তল ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটে।
আজ সোমবার সকালে সাড়ে আটটার দিকে উপজেলার নাজিরপুর ইউপির বড় ডালিমা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, ঘটনার ৬ ঘণ্টা পর আলম হাওলাদার নামের একজনকে আটক করে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী গুলিসহ পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে।
ওই সংঘর্ষে ৩ পুলিশ সদস্যসহ উভয় পক্ষের ১৯ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৪ জনকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং বাকিদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নাজিরপুর ইউপির বড় ডালিমা গ্রামের হাকিম হাওলাদার এবং একই বাড়ির কামাল হোসেন গংদের সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল।
সোমবার সকালে জমিতে কামাল হোসেন গংরা ট্রাক্টর দিয়ে জমি চাষ করতে যায়। এ সময় হাকিম হাওলাদার গংরা জমি চাষে বাধা দেয়। হাকিম হাওলাদার এ ঘটনা বাউফল থানা পুলিশকে অবহিত করলে ঘটনাস্থলে ৩ জন পুলিশ আসে।
এ সময় কামাল হোসেনের পক্ষের ফারুক হাওলাদারের স্ত্রী খাদিজা বেগম পুলিশের চোখে মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে দেয়। তার সঙ্গে থাকা ফিরোজ হাওলাদার মাঈনুদ্দিন নামের এক এএসআইয়ের কোমর থেকে ১০ রাউন্ড গুলিসহ পিস্তল ছিনিয়ে নেয়।
পরে বাউফল থানার পুলিশ অস্ত্র ছিনতাইয়ের ঘটনা জানতে পেরে অভিযান চালিয়ে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করে।
- সিলেটের সঙ্গে ২১ ঘণ্টা পর রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক
- মুশফিক-সাকিবের জোড়া ফিফটিতে টাইগারদের চ্যালেঞ্জিং স্কোর
- পূর্ব তিমুর ও ইন্দোনেশিয়ায় ৭.৫ মাত্রার ভূমিকম্প
বাউফল থানার অফিসার ইনচার্জ খন্দোকার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, অস্ত্র ছিনতাইয়ের ঘটনায় ৮ জনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় পটুয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. মঈনুল হাসান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।