বাংলাদেশে গত বছর দক্ষিণ এশিয়ার ৭টি দেশের মধ্যে বিদেশি বিনিয়োগ সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। ২০১৭ সালের তুলনায় ২০১৮ সালে বিনিয়োগ বেড়েছে ৬৮ শতাংশ। অথচ এই সময় সারা বিশ্বে বিদেশি বিনিয়োগ কমেছে ১৩ শতাংশ।
বিভিন্ন দেশে বিদেশি বিনিয়োগ যখন পড়তির দিকে, তখন বাংলাদেশে বিনিয়োগ বৃদ্ধি এক উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিক নির্দেশ করছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জাতিসংঘের সংস্থা ইউনাইটেড নেশনস কনফারেন্স অন ট্রেড অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আঙ্কটাড) প্রকাশিত ওয়াল্ড ইনভেস্টমেন্ট রিপোর্ট তুলে ধরে এই তথ্য জানিয়েছে বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)।
সোমবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে এ সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ২০১৭ সালে বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ ছিল ২১৫ কোটি ১৬ লাখ ডলার। ২০১৮ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৬১ কোটি ৩৩ লাখ ডলার। সে হিসেবে বিনিয়োগ বেড়েছে ৬৮ শতাংশ।
পাশের দেশে ভারতে মোট বিনিয়োগ বেশি হলেও বিনিয়োগ বৃদ্ধির হারের দিক থেকে বাংলাদেশ থেকে অনেক পিছিয়ে তারা। এক বছরে সেখানে বিনিয়োগ বেড়েছে মাত্র ছয় শতাংশ।
২০১৭ সালে ভারতে বিদেশি বিনিয়োগ ছিল তিন হাজার ৯৯০ কোটি ৩৮ লাখ ডলার। ২০১৮ সালে তা দাঁড়ায় চার হাজার ২২৮ কোটি ৫৭ লাখ ডলারে।
শকতরা হারের দিক দিয়ে বাংলাদেশের পর বিদেশি বিনিয়োগ সবচেয়ে বেশি বেড়েছে নেপালে; ২৪ শতাংশ। সে দেশে ২০১৭ সালে বিদেশি বিনিয়োগ ছিল ১২ কোটি ৯২ লাখ ডলার। ২০১৮ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১৬ কোটি ৮ লাখ ডলার।
বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী আমিনুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ বিনিয়োগের অমিত সম্ভাবনার দেশ। বিশ্বের কাছে সব দিক দিয়েই বাংলাদেশকে ইতিবাচক ভাবে তুলে ধরতে হবে, তবেই দ্রুত এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, ইজি অব ডুইং বিজনেস অর্থাৎ সহজে ব্যবসা করার মাপকাঠির সূচকে আগামী এক বছরে ১০০ নিচে আনতে কাজ করছে সরকার। সরকার এ ক্ষেত্রে উন্নতি চায়।
ইজি অব ডুইং বিজনেস সূচকে ১৯০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৭৭তম।
- সাকিব নৈপুণ্যে রশিদদের হারিয়ে সেমির আশা উজ্জ্বল বাংলাদেশের
- ‘রোহিঙ্গাদের অনাগ্রহেই প্রত্যাবাসন বিলম্বিত’
- বিএনপির স্থায়ী কমিটিতে স্থান পেতে পারেন যারা
প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট- পিআরআই এর নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ ও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ- বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী, ব্যবসায়ী শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম।