অবৈধভাবে ইউরোপে যাওয়ার পথে ৩ সপ্তাহ ধরে ভূমধ্যসাগরে ভেসে বেড়ানো ৬৪ বাংলাদেশির মধ্যে দেশে ফিরেছেন আরও ১৫ জন।
আজ মঙ্গলবার বিকেল সোয়া ৫টার দিকে কাতার এয়ারওয়েজের কিউআর-৬৩৪ ফ্লাইটে তিউনিসিয়া থেকে ওই ১৫ বাংলাদেশি ঢাকায় পৌঁছান বলে নিশ্চিত করেছেন বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের অভিবাসন কর্মসূচির প্রধান শরিফুল হাসান।
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা বিমানবন্দরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে বলে জানিয়েছে ইমিগ্রেশন সূত্র।
এই নিয়ে ৪ দিনে ফিরলেন ৩২ বাংলাদেশি। বাকিদেরও দেশে ফেরত পাঠানো হবে বলে নিশ্চিত করেছে লিবিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাস।
এর আগে, তিউনিসিয়া ভূমধ্যসাগর থেকে উদ্ধার হওয়া ৬৪ বাংলাদেশির মধ্যে গত ২১ জুন ফিরেছেন ১৭ বাংলাদেশি।
রেড ক্রিসেন্টের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যম জানায়, প্রায় ৩ সপ্তাহ ধরে তিউনিসিয়ার সাগরে একটি নৌকায় ভাসছিলেন ৬৪ বাংলাদেশিসহ ৭৫ অভিবাসন প্রত্যাশী। নৌকাটি তিউনিসিয়ার উপকূলের কাছাকাছি পৌঁছালেও কর্তৃপক্ষ তীরে নামার অনুমতি দেয়নি।
দেশটির কর্তৃপক্ষ জানায়, তাদের শরণার্থী কেন্দ্রে নতুন করে কাউকে জায়গা দেয়া সম্ভব না। ফলে ওই নৌকাটি উপকূলীয় জারজিস শহর থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে সাগরে ভাসতে থাকে।
- অসাম্প্রদায়িক চেতনা থেকে আওয়ামী লীগ একচুলও সরেনি : কাদের
- ইরানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা প্রতিহত করবে রাশিয়া!
লিবিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাস সূত্র জানায়, আটকে পড়া বাংলাদেশিরা দেশে ফিরে যাবেন- দূতাবাসের পক্ষ থেকে তিউনিসিয়ার কর্তৃপক্ষকে এমন নিশ্চয়তা দেয়ার পর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ গত ১৮ জুন সন্ধ্যায় জারজিস বন্দরে তাদের নামার অনুমতি দেয়। তবে তারা থাকার অনুমতি দেয়নি।
কঠোর নজরদারিতে তাদের রেড ক্রিসেন্ট ও আইওএম পরিচালিত শেল্টার হাউজে রাখার ব্যবস্থা করা হয়। সেখান থেকে পর্যায়ক্রমে সবাইকে দেশে পাঠানো হচ্ছে।