ভোক্তা অধিদপ্তরের সেই কর্মকর্তা ফের অভিযানে

মহানগর প্রতিবেদক

অভিযানে মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার
অভিযানে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার। ফাইল ছবি

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার ৩ সপ্তাহ পর আবার অভিযানে নামলেন।

ঈদের আগে আড়ং এবং অফিসার্স ক্লাবে অভিযান চালানোর পরপর প্রজ্ঞাপন দিয়ে তাকে বদলি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। ৪ জুন অবশ্য তার সেই বদলি আদেশ বাতিল করা হয়।

universel cardiac hospital

ভোক্তা অধিকারের এই কর্মকর্তার বদলি নিয়ে সংসদে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, রোজার সময় যদিও আমি দেশের বাইরে ছিলাম, তখনও বেশকিছু বড় বড় জায়গায় হাত দিল বলে কর্মকর্তার বিরুদ্ধে হঠাৎ একটা ব্যবস্থা নেয়া হলো। আমার কাছে সেটা মোটেও গ্রহণযোগ্য ছিল না।

বদলি আদেশ প্রত্যাহারের প্রায় ২১ দিন পর আজ মঙ্গলবার রাজধানীর কলাবাগান এলাকায় অভিযান চালান মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার।

এদিন তিনি রাজধানীর কলাবাগান এলাকায় বইয়ের দোকানে অভিযান চালান।

জানা যায়, দোকানগুলো বিদেশি বই পাইরেসির মাধ্যমে বেশি দামে বিক্রি করত। অনেক ক্ষেত্রে আসল বইয়ের চেয়ে নকল বই বেশি দামে বিক্রি করার দায়ে বই বিচিত্রাকে ৫০ হাজার, ওয়ার্ল্ড বিচিত্রাকে ২৫ হাজার, বিশ্ব বিচিত্রাকে ৫০ হাজার এবং বই বিচিত্রার অপর এক শাখাকে আরও এক লাখ টাকাসহ মোট পাঁচটি প্রতিষ্ঠানকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

অভিযান শেষে মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার সাংবাদিকদের বলেন, ক্রেতা বিক্রেতা হিসেবে আমরা গত তিন চার মাস তথ্য সংগ্রহ করেছি এবং অন্যান্য কাস্টমাররা যখন কিনেছে আমরা তাদের থেকেও তথ্য নিয়েছি।

তিনি বলেন, আজকের অভিযানে আমরা এখানে পাইরেসির সত্যতা পেয়েছি তাই সব দোকানকে জরিমানা পাশাপাশি সাময়িক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সঙ্গে আগামীকাল (বুধবার) তাদের অধিদপ্তরে সঠিক কাগজপত্র নিয়ে হাজির হতে বলা হয়েছে।

ভোক্তা অধিকারের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ভোক্তার অধিকার নি‌শ্চি‌ত করতে অধিদপ্তরের কর্মকর্তা হিসেবে দায়বদ্ধতা রয়েছে। আমরা রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ ও ভেজালবি‌রোধী অভিযান করেছি। অভিযান অব্যাহত ‌আছে। আজকে বইয়ের বাজারে অভিযান চালিয়েছি। আগামীতে গণপ‌রিবহনে যাত্রী হয়রা‌নি, শিক্ষাপ্র‌তিষ্ঠান, খাদ্যপণ্য, ওষুধসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় প‌ণ্যের ওপর অভিযান চালানো হবে।

প্রসঙ্গত, ৩ জুন ভোক্তা অধিকারের এই কর্মকর্তাকে প্রজ্ঞাপন দিয়ে খুলনা জোনের সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের এস্টেট ও আইন কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দিতে বলা হয়। এই নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক তোড়জোড় শুরু হয়।

পরে অবশ্য ঈদের আগের দিন (৪ জুন) তার বদলি আদেশ প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। এরপর থেকে তিনি স্বপদে দায়িত্ব পালন করছিলেন। বদলি এ ঘটনার পর তিনি ৩ সপ্তাহ আর অভিযানে নামেননি।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে