নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ে ছাত্রদলের দু’পক্ষে মারামারি

ডেস্ক রিপোর্ট

ফাইল ছবি

সদস্যপদের বয়সসীমা শিথিল ও ১২ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষোভ করছে ছাত্র দলের নেতাকর্মীদের একাংশ।

মঙ্গলবার বেলা ১২টায় কাকরাইলের স্কাউট ভবনের সামনে থেকে মিছিল নিয়ে বহিষ্কৃত ছাত্রনেতাদের নেতৃত্বে বিক্ষুব্ধরা বিএনপি কার্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নেয়।

ওই সময়ে কার্যালয়ের নিচে দাঁড়িয়ে থাকা ছাত্র দলের বেশ কিছু নেতা-কর্মীকে ধাওয়া দেন তারা। কার্যালয়ে নিচের শাটার ও গেইটে লাথি মারেন বিক্ষুব্ধরা। নিচ তলায় ধাওয়া খাওয়া নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বিক্ষুব্ধদের মারামারিতে মাহবুবুর রহমান ইমতিয়াজ নামে এক বিক্ষোভকারী আহত হয়।

কার্যালয়ের নিচে প্রধান ফটকের সামনে নিরাপত্তা কর্মীর টেবিল ভাঙা অবস্থায় রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। বিক্ষুব্ধরা নিরাপত্তাকর্মীকে গেইটের বাইরে বের করে দেয়।

কার্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে বসে পড়ে থেমে থেমে ‘সিন্ডিকেটের দালালদের আস্তানা ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও’, ‘সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট অ্যাকশন, অ্যাকশন’ ‘সিন্ডিকেটের দেয়া নির্বাচন মানি না, মানব না’ –ইত্যাদি শ্লোগান দেন তারা।

বেলা ১২টায় এসেই বিক্ষোভকারীরা ভবনের নিচতলায় বিদ্যুতের মেইন সুইচ বন্ধ করে দিলেও পরে ভেতরে অবস্থানরত কর্মীরা প্রধান ফটকের পরের শাটার গেইট বন্ধ করে দিয়ে আবার বিদ্যুতের মেইন সুইচ চালু করে।

কার্যালয়ের ভেতরে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, এবিএম মোশাররফ হোসেন, শফিউল বারী বাবু, আবদুল কাদের ভুঁইয়া জু্য়েল, রাজীব আহসান, আকরামুল হাসানসহ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা এবং ৩০/৪০ জন কর্মী অবস্থান করছেন।

গতকালও বিক্ষুব্ধরা এই কার্যালয়ের সামনে দেড় ঘন্টা বিভোক্ষ করেছে।

গত ৩ জুন বিএনপি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ছাত্র দলের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি ভেঙে দিয়ে কাউন্সিলে প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে ২০০০ সালের পরের এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার শর্ত আরোপ করা হয়।

বয়সসীমা উঠিয়ে দেওয়ার দাবিতে ১০ জুন থেকে বিক্ষোভ করে আসছে ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের একাংশ। পরদিন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ফটকে তালা ঝুলিয়ে দিনভর বিক্ষোভ করে তারা।

গত শনিবার তাদের ১২ নেতাকে সংগঠনের শৃঙ্খলাবিরোধী কার্য্ক্রমের অভিযোগ বহিষ্কারের পরদিন নির্বাচন পরিচালনা কমিটি তফসিল ঘোষণা করে।

বহিষ্কৃতরা হলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ছাত্র দলের সাধারণ সম্পাদক বাশার সিদ্দিকি, ঢাকা মহানগর দক্ষিনের সভাপতি জহিরউদ্দিন তুহিন, ছাত্র দলের ভেঙে দেয়া কমিটির সহসভাপতি এজমল হোসেন পাইলট, ইকতিয়ার কবির, জয়দেব জয়, মামুন বিল্লাহ, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, বায়েজিদ আরেফিন, সাবেক সহ সাধারণ সম্পাদক দবির উদ্দিন তুষার, সাবেক সহ সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম আজম সৈকত, আব্দুল মালেক ও সাবেক কমিটির সদস্য আজীম পাটোয়ারি।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে