মোহাম্মদ মুরসিকে সিসি প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা মুসলিম ব্রাদারহুড ভেঙে দিতে পবিত্র রমজান মাস মাস পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিলেন। তুরস্ক ভিত্তিক গণমাধ্যম ইয়েনি শাফাক মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম মিডলইস্ট আইয়ের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে।
একজন মিসরীয় ব্যক্তি গণমাধ্যমকে জানান, আমার বিশ্লেষণ তাকে ওই নির্দিষ্ট সময়ে হত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছে (রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের দ্বিতীয় রাউন্ডের সপ্তম বার্ষিকী)। এর প্রধান কারণ হলো, তার কাছে চাওয়া দাবি পূরণ না করায় তাকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
খবরে প্রকাশ, মুরসি ও কারাবন্দি মুসলিম ব্রাদার হুডের নেতাদের জন্য কৌশলগত নথিপত্রের রূপরেখার প্রস্তাব তৈরি করা হয়েছিল। যেটি মিশরীয় বিরোধী দলের কয়েকজন ও রাষ্ট্রপতি আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসির নিকটস্থ সিনিয়র কর্মকর্তাদের দ্বারা প্রস্তুতকৃত ছিল।
‘মুসলিম ব্রাদারহুডের ফাইল বন্ধ’ শিরোনামের সরকারের নথিপত্রে বলা হয়েছে, ২০১৩ সালের সামরিক অভ্যুত্থান দ্বারা সংগঠনটি দুর্বল হয়ে পড়েছিল এবং এর প্রধান সমস্যা ছিল রাজনৈতিক বন্দিদের সংখ্যা, যা প্রায় ৬০ হাজার জন।
এর মধ্যে ধর্মনিরপেক্ষ ও ইসলামী গোষ্ঠী রয়েছে। নথিটিতে দেখানো হয়েছে ব্রাদারহুডকে তিন বছরের মধ্যে ভেঙে ফেলা হবে। বন্দিদের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে যদি তারা এটি গ্রহণ করে তাহলে জেলে ভালো অবস্থানে রাখা হবে আর এটি প্রত্যাখ্যান করলে কঠিন শাস্তি ভোগ করতে হবে।
মিসরীয় সরকার চেয়েছিল গোপন আলোচনায় এটি সম্ভব করতে। তারা চায়নি মুরসি তাদের সহকর্মীদের সঙ্গে এটি আলোচনা করুক। মুরসি তার সংগঠনের বিষয়ে আলোচনা প্রত্যাখ্যান করেছেন। সামরিক অভ্যুত্থানের স্বীকৃতি না দিয়ে বর্তমান মিসরীয় প্রেসিডেন্টের সমালোনা করেছেন।
- বিশ্বকাপ : বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা-পাকিস্তানের সেমিফাইনাল খেলার সমীকরণ
- ছাপা হচ্ছে বিনামূল্যে বিতরণের জন্য ১৭ কোটির বেশি বই
- বাবা-মেয়ের যে ছবি বিশ্ব বিবেককে নাড়া দিল
রমজানের সময় আলোচনার বিষয়ে তীব্রতা বেশি ছিল। ওই সময়ে শাসক (সিসি) হতাশ হয়ে ওঠে। তারা অন্য নেতাদের (বন্দি) এটা বুঝিয়েছিল- প্রচারণা দিয়ে রমজানের মধ্যেই এটি আলোচনা করে শেষ করতে। অন্যথায় শাসক তাদের বিরুদ্ধে অন্য কার্যকর ব্যবস্থা নেবেন।
মিসরের কর্তৃপক্ষ ও সংবাদ মাধ্যম জানায়, গত সপ্তাহে কায়রো আদালতে তার বিরুদ্ধে অভিযোগের শুনানি চলাকালে লোহার খাঁচার মধ্যে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান।