নৌকযোগে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপ যাওয়ার সময় তিউনিসিয়া উপকূল থেকে উদ্ধার ৬৪ বাংলাদেশির মধ্যে তৃতীয় ধাপে ২৪ জনকে বুধবার দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।
বিকেল সোয়া ৫টায় কাতার এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটযোগে তাদের ঢাকায় অবতরণের কথা রয়েছে।
এর আগে ভূমধ্যসাগর থেকে উদ্ধার হওয়া ৬৪ বাংলাদেশির মধ্যে প্রথম ধাপে গত ২১ জুন দেশে ফিরেছেন ১৭ জন, গত ২৫ জুন দ্বিতীয় ধাপে ফিরেছেন ১৫ জন।
সব মিলিয়ে দেশে ফিরছেন ৫৬ বাংলাদেশি। আর বাকি আটজন দেশে ফেরত আসতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। তাদেরও ফেরত পাঠানোর জন্য তিউনেসিয়া কর্তৃপক্ষ ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) সঙ্গে যোগাযোগ করছেন লিবিয়াস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস।
লিবিয়াস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষ থেকে আটকে পড়া সব বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানো হবে বলে নিশ্চয়তা দেওয়ার পর তিউনিসিয়া কর্তৃপক্ষ উদ্ধারদের গত ১৮ জুন জারজিস বন্দরে নামার অনুমতি দেয়।
কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সবাইকে তিউনিসিয়াতে রেড ক্রিসেন্ট ও আইওএম যৌথ পরিচালিত শেল্টার হোমে রাখার ব্যাবস্থা করা হয়। আইওএম’র সহায়তায় তাদের দেশে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়।
তিউনিসিয়ার ভূমধ্যসাগর থেকে উদ্ধার হওয়া ৬৪ বাংলাদেশির মধ্যে মাদারীপুরের ২৬ জন, বিহ্মণবাড়িয়ার ১৫ জন, সিলেটের আটজন, শরীয়তপুরের তিনজন, মৌলভীবাজারের তিনজন, নোয়াখালীর দুইজন, চাঁদপুরের একজন, সুনামগঞ্জের একজন, গাজীপুরের একজন, ঢাকার একজন, নরসিংদীর একজন, ফরিদপুরের একজন ও টাঙ্গাইলের একজন রয়েছেন।
এছাড়া গত এক মাসে চার ধাপে বিভিন্ন সময়ে তিউনিসিয়া থেকে দেশে ফিরেছেন ৩৩ বাংলাদেশি। এর মধ্যে ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবির ঘটনায় প্রাণে বেঁচে যাওয়া কর্মীরাও রয়েছেন।
আর গত ১১ জুন তিউনিসিয়া থেকে ফেরত আসা ছয় কর্মী ছিলেন যারা তিউনিসিয়া দিয়ে ব্রাজিল হয়ে আমেরিকা যাচ্ছিলেন। এরা সবাই কুমিল্লা জেলার।