আন্দোলন করার সাহস-সক্ষমতা বিএনপির নেই। আর যদি সাহস থাকে তাহলে আন্দোলন করে খালেদা জিয়ার মুক্তি নিয়ে আসুক। তাতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি একথা বলেন।
সরকার হস্তক্ষেপ না করলে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে কারান্তরীণ খালেদা জিয়ার জামিনে মুক্তির বিষয়ে এক প্রশ্নে ওবায়দুল কাদের বলেন, এখানে স্বাধীন বিচারব্যবস্থা। কোনো প্রকার বাধা বা হস্তক্ষেপ সরকার আগেও করেনি, এখনও করবে না।
তিনি বলেন, যদি তাদের সাহস থাকে, সক্ষমতা থাকে আন্দোলন করে মুক্তি নিয়ে আসুক। আমাদের কোনো আপত্তি নেই, যেভাবেই আনতে পারে। খালেদা জিয়াকে নিয়ে তারা আন্দোলন করুক না, অসুস্থতা নিয়ে রাজনীতি করে! কিন্তু খালেদার মুক্তি নিয়ে কোনো আন্দোলন তো বিএনপি আজ পর্যন্ত করতে পারেনি। সে কাজটি করতে পারেনি, পাঁচশ লোকের একটা মিছিলও হয়নি, এটা কি তাদের দুর্বলতা নয়? তাদের আন্দোলন করার সাহস আর সক্ষমতা-কোনোটাই নেই। তারা তাদের বিবেকের আদালতে প্রশ্ন করুক, আসলে তারা একদিকে নির্বাচনে ব্যর্থ অন্যদিকে আন্দোলনেও ব্যর্থ। বাংলাদেশে এরকম ব্যর্থ বিরোধীদল ইতিহাসে আমার জানা মতে এর আগে কখনো দেখিনি।
- আরও পড়ুন, এরশাদের শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি
ওবায়দুল কাদের দাবি করে বলেন, রাজনৈতিক কোনো সহিংসতা আমাদের দেশে হচ্ছে না। রাজনীতি যারা করে, সংঘাতটা কখন হয়? যারা সরকারে আছে তাদের সঙ্গে, কিন্তু সেরকম কোনো পরিস্থিতি বাংলাদেশে ঘটেনি।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সংকটাপন্ন অবস্থায় সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা কে হতে পারে- প্রশ্নে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাদের বলেন, এটা জাতীয় পার্টির অভ্যন্তরীণ বিষয়। এরশাদ সাহেব এখনো জীবিত, তার উত্তরাধিকারী কে হবেন- সেটা তো আমাদের বিষয় না। আওয়ামী লীগ এটা সিদ্ধান্ত নেওয়ার কে? তাদের দলনেতা কে হবেন, দলের প্রধান কে হবেন- এটা একান্তই জাতীয় পার্টির নিজস্ব ব্যাপার। তারাই সিদ্ধান্ত নেবে সংসদে ও দলে কে নেতৃত্ব দেবে।