নির্মাতা নাসির উদ্দীন ইউসুফের তৃতীয় ছবি ‘আলফা’ মুক্তি পেয়েছিল গত ২৬ এপ্রিল। বসুন্ধরায় স্টার সিনেপ্লেক্স, সীমান্ত সম্ভার স্টার সিনেপ্লেক্স, শ্যামলী সিনেমায় ও চট্টগ্রামের প্লাটিনামে সেই সময় দেখেছেন দর্শক।
এবার এই ছবিটির বিশেষ প্রদর্শনী হতে যাচ্ছে। মজার ব্যপার হলো এবার টিকিট ছাড়াই দর্শকরা উপভোগ করতে পারবেন ছবিটি।
আগামী ১৩ জুলাই বিকেল ৫টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে ‘আলফা’ ছবিটির বিশেষ এই প্রদর্শনীর আয়োজন করছে বাংলাদেশ শর্ট ফিল্ম ফোরাম।
প্রদর্শনীর পাশাপাশি ছবিটি নিয়ে মুক্ত আলোচনাও হবে সেখানে। দেশের বরেণ্য ব্যক্তিবর্গ কথা বলবেন ছবিটি নিয়ে। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত নাসির উদ্দীন ইউসুফ নিজেই।
বুধবার বিকেলে নির্মাতা নাসির উদ্দীন ইউসুফ গণমাধ্যমকে বলেন, শর্ট ফিল্ম ফোরাম আগামী ১৩ জুলাই আমার ছবিটির বিশেষ প্রদর্শনীর আগ্রহ প্রকাশ করে আমার কাছে। আমি সম্মতি দিয়েছি। ওইদিন চলচ্চিত্রটি দেখে আলোচনা করবেন গুণীজনেরা। সবার জন্যই উম্মক্ত থাকছে এই আয়োজন। এছাড়া এর আগেই ২৮ ও ২৯ জুন চট্টগ্রাম থিয়েটার ইনস্টিটিউটে দুইটি শো হবে চলচ্চিত্রটির।
এরই মধ্যে ‘আলফা’ আসন্ন সার্ক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শনীর জন্য বাংলাদেশ থেকে সরকারীভাবে পাঠানো হয়েছে।
তৃতীয় বিশ্বের একজন শহুরে নাগরিককে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছে ‘আলফা’ চলচ্চিত্রের কাহিনি। এখানে ফুটে উঠেছে যান্ত্রিক শহরের বাস্তবতার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া ও অন্তর্দ্বন্দ্ব নিয়ে বেঁচে থাকা এক চিত্রশিল্পীর জীবন।
‘আলফা’-র মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন আলমগীর কবির ও দোয়েল ম্যাশ। আরও অভিনয় করেছেন এটিএম শামসুজ্জামান, হীরা চৌধুরী, ইশরাত নিশাত, মোস্তাফিজুর নূর ইমরান ও ভাস্কর রাসা।
ফরিদুর রেজা সাগর ও এশা ইউসুফ প্রযোজিত এবং ইমপ্রেস টেলিফিল্মের ব্যানারে নির্মিত এ সিনেমার কাহিনি, চিত্রনাট্য ও পরিচালনা করছেন নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু। সম্পাদনায় ছিলেন ক্যাথরিন মাসুদ।
উল্লেখ্য, ১৯৯৩ সালে মুক্তি পেয়েছিল শাহরিয়ার কবির-এর উপন্যাস অবলম্বনে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র ‘একাত্তরের যীশু’। সৈয়দ শামসুল হকের ‘নিষিদ্ধ লোবান’ উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত ‘গেরিলা’ মুক্তি পায় ২০১১ সালে। দুটি ছবির পরে নিজের কাহিনি, চিত্রনাট্য ও পরিচালনায় ২৬ এপ্রিল মুক্তি পায় নাসির উদ্দীন ইউসুফের তৃতীয় চলচ্চিত্র ‘আলফা’।