গান্ধীবাদী চেতনায় মানুষ আর সমাজের সেবায় পুরো জীবন পার করে চিরদিনের মতো বিদায় নিলেন ঝর্ণাধারা চৌধুরী।
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীর গান্ধী আশ্রম ট্রাস্টি বোর্ডের সচিব ঝর্ণাধারা রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন বলে ট্রাস্টের সভাপতি স্বদেশ রায় জানান।
সমাজ সেবার জন্য বাংলাদেশ ও ভারতের রাষ্ট্রীয় সম্মাননা পাওয়া ঝর্ণাধারা চৌধুরীর বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।
আশ্রমের পরিচালক রাহা নব কুমার জানান, ঝর্ণাধারা চৌধুরী দীর্ঘদিন ধরে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিসসহ বার্ধক্যজনিত নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। গত ১ জুন মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হলে পরদিন তাকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বুধবার হাসপাতালেই তার মস্তিস্কে দ্বিতীয়বারের মত রক্তক্ষরণ হলে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসকরা তাকে আর জীবনে ফেরাতে পারেননি।
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ জানান, সবার শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য শুক্রবার বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত ঝর্ণাধারা চৌধুরীর কফিন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাখা হবে।