বরগুনা সদরে প্রকাশ্যে হত্যার শিকার রিফাত শরীফের (২৬) শরীরে ছিল অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন। এর মধ্যে গলা, মাথা ও বুকের তিনটি আঘাত ছিল গুরুতর। তবে মূলত অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন ময়নাতদন্তকারী দলের প্রধান জামিল হোসেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রিফাতের লাশের ময়নাতদন্ত হয়। হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জামিল হোসেনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি দল ময়নাতদন্ত করে।
ময়নাতদন্ত শেষে বেলা ১টার দিকে জামিল হোসেন বলেন, রিফাতের শরীরে ছিল অসংখ্য আঘাত। এর মধ্যে গলা, মাথা ও বুকের তিনটি আঘাত গুরুতর ছিল। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে।
বেলা সোয়া ১টার দিকে রিফাতের লাশ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বিকেলে গ্রামের বাড়িতে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তার লাশ দাফনের কথা আছে।
বুধবার প্রকাশ্যে বরগুনা সরকারি কলেজের মূল ফটকের কাছে রিফাতকে স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকার সামনে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।