জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের প্রাক্তন ছাত্র (৩০তম আবর্তন) জহির সুমনের চিকিৎসা সহায়তায় মঞ্চায়িত হতে যাচ্ছে নাটক ‘হ্যাপি ডেজ’। ফ্রান্স অ্যাম্বাসি প্রযোজিত নাটকটির পরিবেশনায় রয়েছে মণিপুরি থিয়েটার ও হৃৎমঞ্চ।
শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টা ও সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় রাজধানীর নাটক সরণীর (বেইলী রোড) মহিলা সমিতির নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তনে নাটকটির দু’টি প্রদর্শনী হবে।
স্যামুয়েল বেকেটের লেখা ‘হ্যাপি ডেজ’ বাংলা অনুবাদ করেছেন কবীর চৌধুরী ও শাহীন কবীর। অভিযোজন ও সম্পাদনা করেছেন শুভাশিস সিনহা ও জ্যোতি সিনহা। এতে একক অভিনয় করছেন জ্যোতি সিনহা। মঞ্চ নির্মাণ করেছেন শাহনাজ জাহান, সহযোগিতায় আসফিকুর রহমান ও হাসান আলী। আলোক প্রক্ষেপণে আসলাম অরণ্য। সংগীত প্রক্ষেপণে হুমায়ূন আজম রেওয়াজ। স্টেজ ম্যানেজার পারভেজ সরকার।
নির্দেশক শুভাশিস সিনহা বলেন, স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সুমনের উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেয়া প্রয়োজন। মেধাবী, প্রাণচঞ্চল, শিল্পতৎপর এই সম্ভাবনাময় তরুণকে বাঁচানোর জন্য যার যার জায়গা থেকে পাশে দাঁড়ানো জরুরি। হ্যাপি ডেজ’র প্রদর্শনীর টিকেট বিক্রি থেকে প্রাপ্ত অর্থ সুমনের চিকিৎসা সহায়তায় দেয়া হবে। এছাড়া যে কেউ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে বিশেষ সহায়তামূলক অর্থ প্রদান করতে পারেন।
- আরও পড়ুন, ‘আলফা’ দেখা যাবে টিকিট ছাড়াই
‘হ্যাপি ডেইজ’ নাটকে উইনি নামের এক নারীর নিঃসঙ্গ কিন্তু স্বপ্নময় জীবনের দৈনন্দিন সব ছেলেখেলার মতো ক্রিয়াকলাপের মধ্য দিয়ে মানুষের এক অভিনব মানসপটকে আঁকা হয়েছে। পুরো নাটকে উইনি তার স্বামী উইলির সাথে অনর্গল কথা বলে যায়, প্রলাপের মতো। নস্টালজিয়া, অভিযোগ, আকাঙ্ক্ষা কিন্তু সবকিছু ছাপিয়ে তার শরীর-মনের তীব্র প্রেমাকুতি।
মূল টেক্সটে দু’একটি সংলাপের মধ্য দিয়ে অথর্ব, অক্ষম পুরুষ-চরিত্র উইলি উপস্থিত থাকলেও এ প্রযোজনায় তাকে অনুপস্থিত রাখা হয়েছে। কিন্তু স্ত্রী উইনির ঘন্টাব্যাপী কথা-ক্রিয়ার মধ্যে সে বর্তমান থাকে। সে জীবিত নাকি মৃত, সে প্রশ্নের মীমাংসাও হয়তো হয় না। কিন্তু উইনি তাকে নিয়ে জীবনের এক আনন্দময় দিনের স্বপ্ন দেখে চলে, তাকে নিজের মতো করে সাজিয়ে চলে, যা কোনোদিনই তার জীবনে আসে না।