রিফাতের হত্যাকারীদের পক্ষে আইনজীবীদের না দাঁড়ানোর আহ্বান

মত ও পথ প্রতিবেদক

খুনিদের পক্ষে আইনজীবীদের না দাঁড়ানোর আহ্বান
জাহানারা ইমামের ২৫তম মৃত্যুবার্ষিকীতে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এমপি এবং আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম

বরগুনায় রিফাতের হত্যাকারীদের বিচারে দলীয় পরিচয়সহ স্থানীয় প্রভাব কোনো বাধা হতে পারবে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতারা।

শুক্রবার সকালে শিল্পকলা একাডেমীতে শহীদ জননী জাহানারা ইমামের ২৫তম মৃত্যুবার্ষিকীতে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এমপি এবং আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম। এ সময় সামাজিক অপরাধসহ সব অপরাধ রোধে দ্রুততম সময়ে বিচার সম্পন্নের ব্যাপারে জোর দেন তারা।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম রিফাত শরীফের হত্যাকারীদের পক্ষে আদালতে কোনো আইনজীবীকে না দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, ‘বেশি টাকা নিয়ে আপনারা এ সন্ত্রাসীদের পক্ষে দাঁড়াবেন না। আপনারা বিবেক দিয়ে বিষয়টি বিবেচনা করবেন। শুধু টাকার জন্য খুনিদের পক্ষ কেন নেবেন? সন্ত্রাসীদের আইনি সহায়তা দেবেন না। তাদের পক্ষে দাঁড়াবেন না।’

১৪ দলর মুখপাত্র বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাউকে খাতির করেন না। তিনি বিশ্বজিৎ ও নুসরাত হত্যাকাণ্ডের বিচার করেছেন। রিফাত ফরাজিকেও খাতির করবেন না। রিফাত ফরাজি দীর্ঘদিন ধরে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে। তাই আমি অনুরোধ করব, কোনো আইনজীবী রিফাতের মতো সন্ত্রাসীদের আইনি সহায়তা দেবেন না। তাদের পক্ষে দাঁড়াবেন না।’

বরগুনার রিফাত শরীফের হত্যাকারীর রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক আশ্রয়দাতাদের গ্রেফতারের আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এ সদস্য আরও বলেন, ‘এ সব খুনিকে যারা আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়েছে তাদেরও গ্রেফতার করতে হবে। কারণ তাদের অশ্রয় না দিলে তারা এতবড় দুঃসাহস দেখাতে পারতো না। একটা যুববকে প্রকাশ্য দিবালোকে কুপিয়ে হত্যা করার মতো সাহস তারা দেখায় কীভাবে?’

তিনি বলেন, ‘শুধু খুনিদের গ্রেফতার করলেই হবে না। এরা রাজনৈতক আশ্রয়ে থেকে এসব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালায়। এদের স্থানীয় পুলিশও সহযোগিতা করে। এরা সন্ত্রাসী। তাদের কোনো দল নেই। এরা বিএনপি-জামায়াতের চেয়েও ভয়ঙ্কর।’

শহীদ জননী জাহানারা ইমাম সম্পর্কে নাসিম বলেন, ‘তিনি ছিলেন একজন মহিয়সী নারী। তিনি ক্যান্সার নিয়ে ঘাতকদের বিচারের দাবিতে আন্দোলন করেছেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাষ্ট্রদ্রোহী মামলা নিয়ে মৃত্যুবরণ করেন। এ মামলা হয়েছিল বিএনপির আমলে। এ জন্য খালেদা জিয়ার বিচার হওয়া উচিত।’

সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, এই সমস্ত হত্যাকাণ্ডের বিচার একেবারে প্রায়োরিটি বেসিসে সম্পন্ন করা হয়। এগুলো অন্য বিচারগুলোর মতো না। দ্রুততম সময়ের মধ্যে আমরা রায় কার্যকর করতে পারি, তার জন্য আইনমন্ত্রী মহোদয়ের কাছে বিনীত অনুরোধ করবো। 

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে