দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে শ্রীলঙ্কা আজ অতি কষ্টে ২০০ পার করল। ৩ বল বাকি থাকতেই সবকটি উইকেট হারিয়ে দলটি করেছে ২০৩ রান। লঙ্কান ব্যাটসম্যানরা প্রিটোরিয়াস ও মরিসদের বোলিংয়ের সামনে যেন দাঁড়াতেই পারেননি।
দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিস আজ শুক্রবার ইংল্যান্ডের ডারহামের চেস্টার লি স্ট্রিটে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন।
ইনিংসের প্রথম বলেই কাগিসো রাবাদার বলে আউট হয়ে যান দিমুথ করুনারত্নে। শুরুর ধাক্কা সামলাতে কুশাল পেরেরার সঙ্গী হন অভিস্কা ফার্নান্দো। দ্বিতীয় উইকেটে বেশ দ্রুততার সঙ্গে ৬৭ রানের জুটি গড়ে ভালোভাবেই সামলে নিচ্ছিলেন তারা।
তবে ২৯ বল থেকে ৩০ রান করে ভালো শুরুর আভাস দিয়েও ডোয়াইন প্রেস্টোরিয়াসের বলে আউট হয়ে যান ফার্নান্দো। ফার্নান্দোর পর প্রেস্টোরিয়াসের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন পেরেরা। ৩৪ বল থেকে তিনিও করেন ৩০ রান। দলের সর্বোচ্চ স্কোর এই দুজনেরই।
দলীয় ১০০ রানে ক্রিস মরিসের বলে বোল্ড হয়ে যান অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস (১১)। উইকেট পতনের এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকে শেষ পর্যন্ত। যে কারণে বড় স্কোরের জন্য মারমুখি ব্যাটিংয়ের দিকে যেতেই পারেননি লঙ্কান ব্যাটসম্যানরা।
শ্রীলঙ্কার অন্য ব্যাটসম্যানদের মধ্যে ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ২৪ রান করেন। এছাড়া কুশাল মেন্ডিস ও থিসারা পেরেরা করেন ২৩ রান করে।
ছয় ম্যাচে ৬ পয়েন্ট সংগ্রহ করেছে লঙ্কানরা। যার মধ্যে দুটি জয়, দুটি হার ও দুটি ম্যাচে পয়েন্ট ভাগাভাগি হয়েছে তাদের। সেমিফাইনালে খেলার আশা বাঁচিয়ে রাখতে এটিসহ মোট তিন ম্যাচেই শ্রীলঙ্কাকে জিততে হবে।
৭ ম্যাচ থেকে তিন পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের নিচের দিকে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকার লিগ পর্ব থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেছে প্রোটিয়াদের।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
শ্রীলংকা: ৪৯.৩ ওভারে ২০৩/১০ (কুশল পেরেরা ৩০, ফার্নান্দো ৩০, ডি সিলভা ২৪, কুশল মেন্ডিস ২৩, থিসেরা পেরেরা ২১, ইসুর উদান ১৭, জীবন মেন্ডিস ১৮; পিটোরিয়াস ৩/২৫, মরিস ৩/৪৬, রাবাদা ২/৩৬)।