১ ঘন্টা ১০ মিনিট পর ছাড়া পেল পাহাড়িকা এক্সপ্রেস

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি

১ ঘন্টা ১০ মিনিট পর ছাড়া পেল পাহাড়িকা এক্সপ্রেস
বড়ছড়া ব্রিজ

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার বরমচাল স্টেশনে আটকে থাকা চট্টগ্রামগামী আন্তঃনগর পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনটি বিকেল সোয়া চারটার পর গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে।

শুক্রবার সিলেট থেকে ছেড়ে আসা ট্রেনটি দুপুর ২টা ৫০মিনিট থেকে বরমচাল স্টেশনে আটকা পড়ে।

টানা বৃষ্টিতে কুলাউড়ার বরমচাল এলাকায় সদ্য ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনা কবলিত স্থানের সেই আলোচিত বড়ছড়া ব্রিজে নিচে পাহাড়ি ঢলে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা সৃষ্টি হয়ায় এবং শ্রীমঙ্গল, শমশেরনগর এলাকায় রেললাইনে পানি উঠায় দুর্ঘটনা এড়াতে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেয় স্টেশন মাস্টার। এতে মাঝপথেই আটকা পড়ে ট্রেনের কয়েকশ যাত্রী।

টানা বৃষ্টিতে প্রবল স্রোতে বড়ছড়া ব্রিজের নিচ থেকে মাটি সরে যাতে পারে এমন ধারণা বরমচাল স্টেশন মাস্টার শফিকুল ইসলামের। এছাড়াও শ্রীমঙ্গল, শমশেরনগর এলাকায় রেললাইনে পানি উঠেছে বলেও খবর পাওয়া গেছে। এ অবস্থায় বড়ছড়া ব্রিজ ও রেলপথ দিয়ে ট্রেন চলতে গেলে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এজন্য কোনো ঝুঁকি নিতে চাননি তারা।

তিনি বলেন, ছড়ার পানি বাড়ার কারণে এলাকাবাসী স্টেশন মাস্টারকে এ মুহূর্তে ট্রেন না ছাড়তে অনুরোধ করলে ট্রেনটি ২টা ৫০ মিনিট থেকে সোয়া ৪টা পর্যন্ত স্টেশনে আটকে রাখা হয়। পরে রেলের প্রকৌশলীরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঝুঁকিমুক্ত বলার পর ট্রেনটি ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

বিষয়টি স্টেশন মাস্টার শফিকুল ইসলাম ঢাকা কন্ট্রোল রুমকে জানিয়েছেন বলে জানান। তিনি বলেন, কন্ট্রোল রুম জানিয়েছে পিআইডব্লিউ না বলা অবধি ট্রেন ছাড়া যাবে না। এদিকে, দুপুর সাড়ে তিনটা পর্যন্ত পিআইডব্লিউর কাউকে ফোনে পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানান স্টেশন মাস্টার।

কুলাউড়ার স্টেশন মাস্টার মাজহারুল ইসলাম বলেন, বেশ কিছু স্থানে রেল লাইনের উপর পানি উঠে গেছে। তাছাড়া বড়ছড়া ব্রিজের টেকসইয়ে সন্দেহ হচ্ছে। তাই ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় ট্রেনটি যাওয়ার অনুমতি দেয়া হয়েছে।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে