আমাদের ঋণের পরিমাণ জিডিপির ৫ শতাংশ। মালয়েশিয়ার এর চেয়ে বেশি। ঋণের পরিমাণ হিসাব করা হয় জিডিপি দিয়ে। আমরা ঋণ নেই চায়নার কাছ থেকে। চায়নার ঋণের পরিমাণ জিডিপির ২৮৪ শতাংশ। ওরা আমাদের ঋণ দেয়। আমাদের ঋণের পরিমাণ জিডিপির ৩৪ শতাংশ। ২০৩০ সাল নাগাদ আমরা আর ঋণ নেব না। আমরা ঋণ দেব ইনশআল্লাহ। সারা বিশ্বের মানুষকে ঋণ দেব আমরা।
আজ শনিবার জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটের সমাপনী বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এসব কথা বলেন।
প্রস্তাবিত ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটের সুফল ২০২৪ সাল পর্যন্ত পাওয়া যাবে দাবি করে অর্থমন্ত্রী বলেন, এ বাজেটটি শুধু একটি বছরের জন্য নয়। এ বাজেটের ফাউন্ডেশন এ বছর। কিন্তু এ বাজেট থেকে ২০৩০ সাল পর্যন্ত অর্জন করতে পারব। সেভাবে আমরা বাজেটটি প্রণয়ন করেছি। আমি বিশ্বাস করি, ২০২৪ সালে আমরা ডাবল ডিজিট গ্রোথে পা রাখব। ২০২৪ সাল থেকে শুরু করে ২০৩০ সাল পর্যন্ত এ বাজেটের ফলাফল পাব।
তিনি বলেন, একটা দেশ এবং জাতির সঙ্গে অনেক মিল আছে। মানুষের জীবনে যেমনিভাবে সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়, ঠিক তেমনিভাবে দেশের ক্ষেত্রেও সেটা সম্ভব হয়। দেশের ক্ষেত্রে সম্ভব হয় বলেই আমরা আমাদের এ বাজেটে টাইটেল রেখেছি- ‘সময় এবার আমাদের, সময় এখন বাংলাদেশের’- এটা ইচ্ছাকৃতভাবে লেখা হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা কী দেখতে পাই? আমরা যদি মালয়েশিয়ার দিকে তাকাই? ৩০ বছরের মধ্যে মালয়েশিয়া চলে গেছে তাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে, কাঙ্ক্ষিত জায়গায়। চায়নার অবস্থা কী ছিল? চায়না সবচেয়ে দরিদ্র দেশ ছিল। চায়নায় কোনো খাবার ছিল না। চায়না আজকে পৃথিবীর এক নম্বর দেশ।
- ব্যবসায়ীদের কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দাবি রওশনের
- পদ্মাসেতুর এক তৃতীয়াংশ দৃশ্যমান
- প্রতিদিন শরণার্থী শিশু মারা যাচ্ছে : জাতিসংঘ
তিনি বলেন, আমরা গত ১০ বছরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে নিরলস পরিশ্রম করে সবাই মিলে বাংলাদেশকে যে জায়গায় নিয়ে এসেছি। ট্রেন একবার যখন ট্র্যাকের উপর উঠে যায় তখন আর ট্রেন পেছনের দিকে যায় না। কোনো জাতি নেই আমাদের এখান থেকে গতিচ্যুত করতে পারবে। আমরা এগোবই, এগোবই ইনশাআল্লাহ।