বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শারীরিক অবস্থার হঠাৎ অবনতি ঘটেছে। শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটার পর জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে অক্সিজেন সাপোর্টে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাপার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জিএম কাদের।
তিনি বলেছেন, এরশাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে দেশের বাইরে নিয়ে যেতে প্রস্তুত আমরা। তবে এখনই তাকে বিদেশে নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। তিনি এখন অক্সিজেন সাপোর্টে রয়েছেন।
আজ রোববার বনানীতে জাতীয় পার্টির দলীয় অফিসে প্রেস ব্রিফিংকালে জিএম কাদের এ কথা বলেন।
এর আগে দুপুরে হঠাৎ জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে।
এরশাদের ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি খন্দকার দেলোয়ার জালালী সংবাদমাধ্যমকে জানান, এরশাদের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটেছে। বিকেল থেকে তিনি অক্সিজেন সাপোর্টে আছেন।
গত বুধবার থেকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন রয়েছেন এইচএম এরশাদ।
সূত্র জানায়, সাবেক রাষ্ট্রপতির ফুসফুসে পানি জমেছে, যা বের করা জরুরি। তবে তার ফুসফুসের পানি বের করলে শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি ঘটতে পারে।
এরপরও চিকিৎসকরা তার ফুসফুস থেকে পানি অপসারণ করার প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন বলে জানিয়েছেন সাবেক এই রাষ্ট্রপতির পরিবারের সদস্যরা।
হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে সিএমএইচএর ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। বাইরে থেকে তার সঙ্গে কাউকে দেখা করতে দেয়া হচ্ছে না। এ কারণে আত্মীয়-স্বজনরা দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।
একাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে গত বছরের ২০ নভেম্বর ইমানুয়েল কনভেনশন সেন্টারে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সামনে সবশেষ আনুষ্ঠানিক বক্তব্য রাখেন এরশাদ।
এরপর অসুস্থতার কারণে আর কোনো কর্মসূচিতে অংশ নেননি তিনি। ৬ ডিসেম্বর গাড়িতে করে অফিসের সামনে এলেও সেখানে বসে কথা বলেই চলে যান।
- সংসদ নির্বাচনে দুই শতাধিক কেন্দ্রে শতভাগ ভোট পড়া অস্বাভাবিক : সিইসি
- মৎস্য রপ্তানিতে এক বছরে আয় ৪ হাজার কোটি টাকা
- গ্যাসের দাম বেড়েছে, কাল থেকে কার্যকর
১০ ডিসেম্বর চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে যান এরশাদ। ভোটের মাত্র ৩ দিন আগে ২৬ ডিসেম্বর দেশে ফিরলেও নির্বাচনী ক্যাম্পেইনে যোগ দেননি। এমনকি নিজের ভোটও দিতে যেতে পারেননি সাবেক এই রাষ্ট্রপতি। ভোটের পর শপথ নেন আলাদা সময়ে গিয়ে। সেদিনও স্পিকারের কক্ষে হাজির হয়েছিলেন হুইল চেয়ারে বসে।
২০ জানুয়ারি ফের সিঙ্গাপুরে যান চিকিৎসার জন্য। সেখান থেকে ফেরেন ৪ ফেব্রুয়ারি। তবে এখনো কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচিতে তাকে দেখা যায়নি। সংসদ অধিবেশনে মাত্র একদিনের জন্য হাজির হয়েছিলেন তাও হুইল চেয়ারে ভর করেই।