ইংল্যান্ড আর নিউজিল্যান্ডের সামনে একই সমীকরণ। সেমিফাইনাল নিশ্চিত করতে হলে আজকের ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই। এমন কঠিন সমীকরণের ম্যাচে কিউইদের বিপক্ষে জনি বেয়ারস্টোর সেঞ্চুরিতে ৩০৫ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে ইংলিশরা।
টার্গেট তাড়া করতে নেমে চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে যায় নিউজিল্যান্ড। ১৬.৪ ওভারে ৬৯ রানে হেনরি নিকোলস, মার্টিন গাপটিল, কেন উইলিয়ামসন, ও রস টেইলরের মতো তারকা ৪ ব্যাটসম্যানের উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়ে কিউইরা।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তাদের সংগ্রহ ৩৯ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৬৬ রান।
ইংল্যান্ড ৩০৫/৮
বুধবার ইংল্যান্ডের চেস্টার-লি-স্ট্রিটে টস জিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ইংলিশ অধিনায়ক ইয়ন মরগান।
ব্যাটিংয়ে নেমে রীতিমতো তাণ্ডব চালান ইংলিশ দুই ওপেনার জেসন রয় ও জনি বেয়ারস্টো।
উদ্বোধনী জুটিতে প্রথম পাওয়ার প্লেতে ৬৭ রান তুলে নেন জেসন রয় ও জনিন বেয়ারস্টো। অনবদ্য ব্যাটিং করে দুজনই জোড়া ফিফটি তুলে নেন। উদ্বোধনী জুটিতে ১৮.৪ ওভারে ১২৩ রান যোগ করেন তারা।
তাদের এই জুটি ভাঙেন জেমস নিশাম। তার বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন জেসন রয়। তার আগে ৬১ বলে আটটি চারের সাহায্যে ৬০ রান করেন রয়।
তার বিদায়ের পর ওয়ান ডাউনে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭১ রান যোগ করেন জো রুট ও জনি বেয়ারস্টো।
১ উইকেটে ১৯৪ রান করা ইংল্যান্ড পরের ৭৮ রানে হারায় ৬ উইকেট। ২৫ বলে ২৪ রান করে ফেরেন জো রুট। একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে যাওয়া জনি বেয়ারস্টো ম্যাট হেনরির বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন। তার আগে ৯৯ বলে ১৫টি চার ও এক ছক্কায় ১০৬ রান করেন জনি বেয়ারস্টো।
ব্যাটসম্যানদের এই আসা-যাওয়ার মিছিলে প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টাও করেন ইয়ন মরগান। অসাধারণ ব্যাটিং করে যাওয়া মরগান ম্যাট হেনরির বলে মিসেল স্যান্টনারের অসাধারণ ক্যাচে পরিণত হয়ে সাজঘরে ফেরেন।
তার আগে ৪০ বলে পাঁচটি বাউন্ডারিতে ৪২ রান করেন ইংলিশ অধিনায়ক। শেষ দিকে আদিল রশিদ ও লিয়াম প্লাঙ্কেটের ১৬ ও ১৫ রানের ছোট ও কার্যকরী ইনিংসে ৮ উইকেটে ৩০৫ রানে থামে ইংল্যান্ড।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ইংল্যান্ড: ৫০ ওভারে ৩০৫/৮ (বেয়ারস্টো ১০৬, জেসন রয় ৬০, মরগান ৪২; নিশাম ২/৪২, হ্যানরি ২/৫৬, বোল্ট ২/৫৬)।