লিবিয়ায় অভিবাসীদের একটি বন্দি শিবিরে বিমান হামলায় অন্তত ৪০ জন নিহত হয়েছেন। এ হামলায় আরও ৮০ জন আহত হয়েছেন।
বুধবার ভোরে দেশটির রাজধানী ত্রিপোলির তাজৌরা এলাকায় এ হামলা চালানো হয়।
নিহতদের অধিকাংশই আফ্রিকান অভিবাসন প্রত্যাশী বলে জানা গেছে।
সম্প্রতি ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে অভিবাসন প্রত্যাশীদের ইউরোপে যাওয়ার প্রধান রুটে পরিণত হয়েছে লিবিয়া। এখানে হাজার হাজার অভিবাসন প্রত্যাশীকে আটক করে এ ধরনের শিবিরগুলোতে রাখা হয়েছে।
লিবিয়ার জরুরি বিভাগগুলোর মুখপাত্র ওসামা আলী জানিয়েছেন, অভিবাসী বন্দি শিবিরটিতে ১২০ জন অভিবাসন প্রত্যাশী ছিলেন। বিমান হামলায় তারা সবাই হতাহত হয়েছেন।
নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এ হামলার জন্য সাবেক জেনারেল খলিফা হাফতারের নেতৃত্বাধীন স্বঘোষিত লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মিকে (এলএনএ) দায়ী করেছে লিবিয়ার জাতিসংঘ সমর্থিত জাতীয় ঐক্যমতের সরকার (জিএনএ)।
তাজৌরা এলাকায় জিএনএ’র অনুগত বাহিনীগুলোর সঙ্গে এলএনএ’র লড়াই চলছে।
জিএনএ বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ‘ব্যাপক বিমান হামলা’ চালানো হবে বলে এলএনএ সোমবার ঘোষণা করেছিল।
কিন্তু এলএনএ’র এক মুখপাত্র অভিবাসী কেন্দ্রে তাদের হামলা চালানোর কথা অস্বীকার করেছে।
২০১১ সালে দেশটির সাবেক শাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফিকে ক্ষমতাচ্যুত করে হত্যার পর থেকে লিবিয়ায় সহিংসতা চলছে।
সূত্র : বিবিসি