লিবিয়ায় একটি অভিবাসী বন্দি শিবিরে বিমান হামলায় নিহতদের মধ্যে একজন বাংলাদেশি রয়েছেন। তার বাড়ি মাদারীপুরের মোস্তফাপুর। তবে তার নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলিতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম কাউন্সিলর এ এস এম আশরাফুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, লিবিয়ার ওই অভিবাসী শিবিরে হামলায় আরো দু’জন বাংলাদেশি আহত হয়েছেন।
বন্দি শিবিরটিতে ১৩ জন বাংলাদেশি ছিল বলে জানতে পেরেছেন কর্মকর্তারা।
মঙ্গলবার স্থানীয় সময় ভোর রাতে ত্রিপোলির পূর্বাঞ্চলের ওই অভিবাসী আটক কেন্দ্রে বিমান হামলা চালানো হয়। এতে ৪০ জন নিহত হন। আহত হন কমপক্ষে ৮০ জন।
- আরও পড়ুন >> লিবিয়ায় অভিবাসী বন্দি শিবিরে বিমান হামলায় নিহত ৪০
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়, বিমান হামলায় বিস্ফোরণে নিহতদের অধিকাংশই আফ্রিকান অভিবাসী। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেখা যায়, ইউরোপে পাড়ি জমানোর জন্য অভিবাসীরা অন্যতম পথ হিসেবে বেছে নিয়েছে লিবিয়াকে। উন্নত জীবনের আশায় লিবিয়া হয়ে সহজে ইউরোপে প্রবেশের চেষ্টা করেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অভিবাসীরা।
২০১১ সালে দেশটির দীর্ঘদিনের স্বৈরশাসক মুয়াম্মার আল গাদ্দাফি নিহত হওয়ার পর থেকে দেশটিতে সহিংসতা এবং বিভাজন বাড়ছে। দেশটির জরুরিসেবা বিভাগের মুখপাত্র ওসামা আলী ফরাসী বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেন, যে ভবনটিতে বিমান সরাসরি আঘাত হেনেছে, সেটিতে ১২০ জন অভিবাসী ছিলেন।
জাতিসংঘ সমর্থিত লিবিয়ার জাতীয় ঐকমত্যের সরকারের (জিএনএ) প্রধানমন্ত্রী ফায়েজ আল-সেররা ত্রিপোলির তাজোরা শহরের অভিবাসী কেন্দ্রে বিমান হামলার জন্য স্বঘোষিত লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মিকে (এলএনএ) দায়ী করেছেন।