‘সরকার কৃষি ও কৃষকদের উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করছে’

মোহাম্মদ সজিবুল হুদা

সরকার কৃষি ও কৃষকদের উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করছে
মোকতাদির চৌধুরী এমপি।

বর্তমান সরকার কৃষি বান্ধব সরকার। কৃষি ও কৃষকদের উন্নয়নে সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সরকারের যুগান্তকারী পদক্ষেপের কারণে কৃষি ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। ফলে দেশ আজ খাদ্যে সয়ংসম্পূণতা অর্জন করেছে।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় টেংকের পাড় লোকনাথ উদ্যানে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা প্রশাসন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও সামাজিক বন বিভাগের উদ্যোগে ১০দিন ব্যাপী জেলা ফলদ ও বৃক্ষ মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন,বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন মানুষের মৌলিক চাহিদার অন্যতম হচ্ছে খাদ্য। মানুষের খাদ্য চাহিদা মিটানোর লক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সময় উপযোগী ফলদ ও বনজ বৃক্ষ মেলা কৃষকসহ আপামর জনসাধারনকে উৎসাহ ও উদ্দীপনা যোগাতে সরকার বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে। গাছ যেমন একদিকে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে, তেমনি মানুষকে বিনামূল্যে অক্সিজেন দেয়।

বৃক্ষের অবদানের কথা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের এই বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ আরও বলেন, বৃক্ষ আমাদের পরম বন্ধু। বৃক্ষ ও মানুষের মধ্যে রয়েছে নিবিড় সম্পর্ক। তাই আমাদের উচিৎ বেশী করে বৃক্ষ রোপন করা। তিনি উপস্থিত সকলকে ৩টি করে ফলদ, বনজ ও ঔষধী বৃক্ষের চারা সংগ্রহ করে রোপণ করার জন্য আহ্বান জানান।

ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৃক্ষ মেলার উদ্ধোধন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর সভার মেয়র ও জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি নায়ার কবির, সামাজিক বন বিভাগ, কুমিল্লার বিভাগীয় কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ নূরুল করিম, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার।


অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আবু নাসের।

এর আগে বৃক্ষ মেলা উপলক্ষে শহরের বঙ্গবন্ধু স্কয়ার থেকে একটি র‌্যালি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে লোকনাথ উদ্যানে গিয়ে শেষ হয়। মেলায় বিভিন্ন জাতের দেশি, বিদেশি ফলদ, বনজ ও ঔষধি এবং শোভাবর্ধক গাছের চারা নিয়ে ৩৩টি স্টল স্থান পায়।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে