ইমাম-বাবর জুটির পর আরও একটি পঞ্চাশোর্ধ জুটি উপহার দেন ইমাম আর হাফিজ। ৯৯ বলে সেঞ্চুরি পূরণ করেন ইমাম। মুস্তাফিজুর রহমানের বলে ঠিক ১০০ রানেই হিট আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেন তিনি।
ইমামের বিদায়ের পর অভিজ্ঞ হাফিজকে (২৭) সাকিব আল হাসানের তালুবন্দি করেন মেহেদী মিরাজ। দ্রুত ২ উইকেট হারিয়ে এখন চাপে পড়েছে পাকিস্তান। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ৪৫.১ ওভারে তাদের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ২৭১ রান।
লর্ডসে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় পাকিস্তান। দলীয় ২৩ রানে সাইফউদ্দিনের বলে মেহেদী মিরাজের হাতে ধরা পড়েন ফখর জামান (১৩)। এরপর প্রতিরোধ গড়েন বাবর আজম এবং অপর ওপেনার ইমাম উল হক। ৬২ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন বাবর।
ইমামও হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন ৫২ বলে। মোসাদ্দেক আর মুশফিকুর রহিমের সৌজন্য দুই বার জীবন পাওয়া বাবর এগিয়ে যাচ্ছিলেন ক্যারিয়ারের ১১তম সেঞ্চুরির দিকে। তবে তাকে ৯৬ রানে থামিয়ে দেন সাইফউদ্দিন। ভাঙে ১৫৭ রানের দ্বিতীয় উইকেট জুটি।
বিশ্বকাপে এর আগে একবার মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ-পাকিস্তান। জয় হয়েছে টাইগারদের। কাগজে কলমেও পাকিস্তানের চেয়ে বাংলাদেশের বর্তমান দলটি অনেক শক্তিশালী। গত বিশ্বকাপের পর থেকে পাকিস্তানের বিপক্ষে কোনো ওয়ানডে হারেনি বাংলাদেশ।
তাই টাইগারদের হারিয়ে সেমিতে যাওয়ার স্বপ্ন অবাস্তব কল্পনা। পাকিস্তানকে সেমিতে যেতে হলে টস জিতে ব্যাটিং নিয়ে সাড়ে তিনশ রানের ব্যবধানে হারাতে হবে বাংলাদেশকে!
বাংলাদেশ একাদশ:
তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, লিটন দাস, মাহমুদউল্লাহ, মোসাদ্দেক হোসেন, মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন, মেহেদী হাসান মিরাজ, মাশরাফি বিন মুর্তজা, মুস্তাফিজুর রহমান।
পাকিস্তান একাদশ:
সরফরাজ আহমেদ, বাবর আজম, ফখর জামান, হারিস সোহেল, ইমাদ ওয়াসিম, ইমাম-উল-হক, ওয়াহাব রিয়াজ, মোহাম্মদ আমির, মোহাম্মদ হাফিজ, শাদাব খান, শাহিন শাহ আফ্রিদি।