“ব্রাজিলকে জেতাতেই এত বাজে রেফারিং-দুর্নীতি”

ক্রীড়া ডেস্ক

মেসির-লাল-কার্ড
মেসিকে লাল-কার্ড দেখাচ্ছেন রেফারি

সেমিফাইনালে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলের বিপক্ষে হেরে কোপা আমেরিকা শিরোপা স্বপ্নভঙ্গ হয় আর্জেন্টিনার। সেই ম্যাচে রেফারির পক্ষপাতিত্বের শিকার হন আলবিসেলেস্তেরা। ন্যায্য দুটি পেনাল্টি পাননি তারা। এ নিয়ে পরে প্রকাশ্যে কথা বলেন লিওনেল মেসি। ম্যাচ অফিসিয়ালদের ধুয়ে দেন তিনি।

তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচ খেলতে নেমেও হতাশ হলেন আকাশি-সাদা-নীল জার্সিধারীরা। এ লড়াইয়েও রেফারির ভুল সিদ্ধান্তের ফাঁদে পড়েছেন ১৪বারের চ্যাম্পিয়নরা। যদিও চিলিকে ২-১ গোলে হারিয়ে ২০১৯ কোপার সেরা তিন নম্বর দলের খেতাব জিতেছেন তারা।

universel cardiac hospital

ম্যাচের ৩৭ মিনিটে চিলির অধিনায়ক গ্যারি মেদেলের সঙ্গে বিবাদে জড়ান লিওনেল মেসি। তবে সেটা গুরতর ছিল না। অথচ দুজনকেই লালকার্ড দেখান রেফারি। লঘু অপরাধে গুরু দণ্ড পান তারা। অবশ্য এর আগেই ২ গোলে এগিয়ে গিয়েছিল আর্জেন্টিনা। দ্বিতীয়ার্ধে চিলিয়ানরা এক গোল শোধ করলেও শেষ পর্যন্ত জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে স্কালোনির দল।

পরবর্তীতে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে পদক নিতেই আসেননি ক্ষুব্ধ মেসি। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় রেফারি, কনমেবল, ব্রাজিল কাউকেই ছাড়েননি তিনি।

মেসি বলেন, আমি মনে করি, ব্রাজিলের বিপক্ষে কথা বলার কারণে আমাকে লাল কার্ড দেখানো হয়েছে।

আর্জনেটাইন তারকা মনে করেন, কনমেবল চায় ব্রাজিলই শিরোপা জিতুক। কোনো সন্দেহ নেই। সবকিছু সেলেকাওদের জন্য সাজানো হয়েছে। আমি আশা করব, ভিএআর ও রেফারি ফাইনালে এরকম কিছু করবে না। পেরুকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দেবে।

সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে ব্রাজিল। আর চিলিকে উড়িয়ে ফাইনালি লড়াইয়ে নাম লেখায় পেরু। রোববার রাতে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে খেলতে নামবে তারা।

পর পর দুই ম্যাচে রেফারির অনাচারের বলির পাঁঠা হলেন মেসি ও তার দল। সেলেকাওদের বিপক্ষে মাথা ঠাণ্ডা রাখতে পারলেও এদিন পারেননি তিনি। প্রতিবাদে খেলা শেষে ড্রেসিংরুম থেকে বের হননি ছোট ম্যাজিসিয়ান। নিজেকে বন্দি রাখেন লকার রুমেই। সতীর্থরা তৃতীয় হওয়ার পুরস্কার নিলেও অনুপস্থিত ছিলেন তিনি।

প্রাথমিকভাবে এর কারণ সাংবাদকর্মীদের কাছে বোধগম্য হয়নি। অবশ্য পরে খোদ নিজেই তাদের সামনে মুখ খোলেন তিনি। ব্রাজিল ম্যাচের মতো মুখে কুলুপ এঁটে থাকেননি। মূলত বাজে রেফারিংয়ের প্রতিবাদস্বরূপ পুরস্কার নিতে বের হননি আর্জেন্টাইন অধিনায়ক।

মেসি বলেন, আমি দুর্নীতির অংশ হতে চাইনি। আমাদের এমন অসম্মানজনক আচরণের পর এর অংশ হওয়া উচিত হবে না। আমরা অনেক দূর যেতে পারতাম। কিন্তু আমাদের ফাইনালে যেতে দেয়া হয়নি। দুর্নীতি, বাজে রেফারিংয়ের জন্য মানুষ ফুটবল উপভোগ করতে পারছে না।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে