আগামী মঙ্গলবার ভারতের সুপ্রিম কোর্টে রোহিঙ্গারা ভারতের নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ- কেন্দ্রীয় সরকারের এমন এক অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অবৈধ অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি শনাক্তে শুনানি হবে।
দেশটির সরকারের তরফে বলা হচ্ছে, রোহিঙ্গাদের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের। ফলে জঙ্গি কর্মকাণ্ডে তাদের ব্যবহার করা হতে পারে। আর এতে করে ভারতের আঞ্চলিক শান্তি-শৃঙ্খলা নষ্টের কারণ হবে।
২০১৭ সালে রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনীর কয়েকটি নিরাপত্তা চৌকিতে কথিত হামলার ধুয়ো তুলে ষেখানকার সংখ্যালঘু মুসলিম নৃগোষ্ঠী রোহিঙ্গাদের ওপর কাঠামোবদ্ধ অভিযান শুর করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী।
নির্বিচারে হামলা, নিপীড়ন, হত্যা-ধর্ষণের মুখে প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশের দিকে রোহিঙ্গাদের ঢল নামে। বাংলাদেশের কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকায় আশ্রয় নেয় অন্তত ৮ লাখের বেশি রোহিঙ্গা। আর আগে থেকে থাকা রোহিঙ্গাদের নিয়ে এ সংখ্যা ছাড়িয়ে যায় ১২ লাখের বেশি।
বাংলাদেশের পাশাপাশি সেসময় কিছু রোহিঙ্গা সমুদ্রপথে মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার দিকেও যাত্রা করে। আর কিছু রোহিঙ্গা মনিপুর ও মিজোরামের সীমান্ত পেরিয়ে ভারতেও ঢুকে পড়ে। তবে সংখ্যায় তা অত্যল্প।
ওই বছরই অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের শনাক্ত করতে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে আপিল করা হয়। প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গোগৈ ও বিচারপতি দীপক গুপ্তার নেতৃত্বাধীন একটি বেঞ্চ অবৈধ অনুপ্রবেশকারী শনাক্তকরণে সম্মতি দেয়।
এর মধ্যে গেল বছর ভারত থেকে রোহিঙ্গা বিতাড়নের সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টে একটি রিট হলে মানবিক দিক বিবেচনায় সেটি আমলে নেয় উচ্চ আদালত। পরে রোহিঙ্গাদের বিতাড়ন না করতে একটি আদেশও দেয় আদালত।
যদিও দেশটির ক্ষমতাসীন বিজেপির এক নেতা অশ্বিনী উপাধ্যায় ৪০ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থীকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্তে সমর্থন দিয়েছিলেন।
ভারতে বিশাল সংখ্যক অভিবাসীর বেশির ভাগই রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশকারী বলে প্রায়শ দাবি করে তার দল বিজেপি।
- ২১ জুলাই আওয়ামী লীগের সদস্য সংগ্রহ অভিযান শুরু
- সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য হচ্ছে আরও ১৮৫০ ফ্ল্যাট
- পদ্মা সেতু এলাকায় থাকছে এক লাখ ৬০ হাজার গাছ
এর মধ্যে শরণার্থীর স্বীকৃতি পাওয়া ৭ রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে বাধা নেই বলে সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছিল। ধারণা করা হয় ভারতে ৪০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী রয়েছে।
তবে দেশটিতে থাকা এসব রোহিঙ্গাদের মধ্যে মাত্র ১৬ হাজার জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক দূতাবাসে নিবন্ধিত।