ব্রিটিশ আমলের ভূমি বিষয়ক আইন পর্যায়ক্রমে যুগোপযোগীর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। নতুন আইন তৈরির পাশাপাশি পুরনো আইন সংস্কারের মাধ্যমে ভূমিসেবা আরও গতিশীলের উদ্দেশ্যে এ কার্যক্রম গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী।
আজ সোমবার রাজধানীর কাঁটাবনে অবস্থিত ভূমি প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে চার সপ্তাহের ‘১১তম বেসিক ভূমি ব্যবস্থাপনা প্রশিক্ষণ কোর্স’ – এর উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রশিক্ষণার্থীদের দিকনির্দেশনা দিতে গিয়ে ভূমিমন্ত্রী বলেন, নেতৃত্বগুণাবলী প্রদর্শনের মাধ্যমে ভূমি অফিসে কর্মরত অধস্তনদের পরিচালনা করতে হবে। কোনো সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় তাদের ওপর নির্ভর করে ভুল পথে চলা যাবে না।
এসিল্যান্ডরা যতদিন ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীনে কাজ করবেন ততদিন তাদের মূল দায়িত্ব জনগণকে ভূমিসেবা প্রদান করা। অতি জরুরি রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব ব্যতীত অন্যান্য কর্মকাণ্ড যেমন- সাধারণ প্রটোকলের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে যেন নিয়মিত ভূমিসেবা প্রদানে বিঘ্ন না ঘটে- তা স্মরণ করিয়ে দিয়ে মন্ত্রী বলেন, এ ব্যাপারে ইতোমধ্যে দিকনির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, সরকার দুর্নীতির ব্যাপারে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ করেছে। মন্ত্রণালয় থেকে মাঠ পর্যায়ের ভূমি অফিসের কর্মকাণ্ড পরিবীক্ষণের পাশাপাশি আকস্মিক পরিদর্শন হচ্ছে। দুর্নীতির প্রমাণ পেলেই আইন অনুযায়ী তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। এছাড়া কিছুদিনের মধ্যে হট-লাইনের কার্যক্রম শুরু হবে, এতে স্বচ্ছতা আরও বৃদ্ধি পাবে।
তিনি বলেন, ভূমি মন্ত্রণালয় মূলত সেবাভিত্তিক মন্ত্রণালয়। স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও সুনামের মাধ্যমে সার্ভিস প্রদান করতে হবে।
- অর্থনীতির উন্নতি চাইলে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি মেনে নিতে হবে : প্রধানমন্ত্রী
- দেশে ২৬ লাখ ৭৭ হাজার বেকার
- চাকরির বয়স ৩৫ করার দাবির বিপক্ষে প্রধানমন্ত্রীর যুক্তি
ভূমি প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের পরিচালক মো. আব্দুল হাইয়ের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ভূমি সচিব মো. মাক্ছুদুর রহমান পাটওয়ারী। এছাড়া প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের বিভিন্ন পর্যায়ের প্রশিক্ষকসহ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের ৩৩ ও ৩৪ ব্যাচের এসিল্যান্ডরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
ভূমিমন্ত্রীর উদ্যোগে এসিল্যান্ডদের আরও নিবিড় প্রশিক্ষণ প্রদানের উদ্দেশ্যে দুই সপ্তাহের কোর্সটি এবার থেকে চার সপ্তাহব্যাপী অনুষ্ঠিত হবে।