দেশে গত অর্থবছরের চেয়ে মূল্যস্ফীতির হার দশমিক ৩ শতাংশ কমেছে। আর মূল্যস্ফীতি কমার হার গ্রামের চেয়ে শহুরে এলাকায় বেশি।
মূল্যস্ফীতি কমার কারণ হিসেবে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, চাল ও পিঁয়াজের চাহিদার চেয়ে উৎপাদন ও মজুদ বেশি ছিল বলে মূল্যস্ফীতি বাড়েনি।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) ব্রিফিং শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এসব তথ্য জানান।
মন্ত্রী জানান, ২০১৮-১৯ অর্থবছর শেষে দেশে গড় মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৪৮ শতাংশ, যা আগের অর্থবছরে ছিল ৫ দশমিক ৭৮ শতাংশ। মূল্যস্ফীতর হার সরকারের লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও কম ছিল। গত বছর সরকারের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৫ শতাংশ।
মাসভিত্তিক মূল্যস্ফীতির পরিসংখ্যানও তুলে ধরেন মন্ত্রী। গত জুনে সার্বিক মূল্যস্ফীতি পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে কমেছে দশমিক ১১ শতাংশ। এই সময়ে সার্বিক মূল্যস্ফতি দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৫২ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ৬৩ শতাংশ। খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৪০ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
এ সময়ে খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমেছে দশমিক ১৩ শতাংশ। ৫ দশমিক ৮৪ শতাংশ থেকে কমে জুনে মূল্যস্ফীত দাঁড়ায় ৫ দশমিক ৭১ শতাংশে।
মন্ত্রী গ্রাম ও শহরের মূল্যস্ফীতির আলাদা চিত্র তুলে ধরে বলেন, সব ক্ষেত্রেই মূল্যস্ফীতির হার কমেছে। তবে গ্রামে মূল্যস্ফীতি কমার হার তুলনামূলক কম ছির বলে দেখা যায় মন্ত্রীর দেওয়া পরিসংখ্যানে।
মন্ত্রীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গ্রামে সার্বিক মূল্যস্ফীতি পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৩৮ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ৪৪ শতাংশ। খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৫৮ শতাংশ, যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ৬৭ শতাংশ। খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক শূন্য এক শতাংশে, যা তার আগের মাসে একই ছিল।
- রাজধানীতে প্রতি ঘণ্টায় ৫ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি
- গান্ধীর জন্মদিনে এমপিদের ১৫০ কিমি হাঁটার নির্দেশ
- সংকটে সরকারি-বেসরকারি ১০ ব্যাংক
শহরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৭৮ শতাংশে। তার আগের মাসে এই হার ছিল ৫ দশমিক ৯৬ শতাংশ। খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক শূন্য এক শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ। খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৬৪ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৬ দশমিক ৯৫ শতাংশ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব সৌরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী এবং বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক কৃষ্ণা গায়েন।