ভালুকায় গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি সাইফুল ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত

বন্দুকযুদ্ধ
প্রতীকী ছবি

ময়মনসিংহের ভালুকায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ গণধর্ষণ মামলার আসামি সাইফুল ইসলাম নিহত হয়েছেন।

পুলিশের দাবি, নিহত সাইফুল উথুরা ইউনিয়নের কৈয়াদী গ্রামের মৃত জাবেদ আলীর ছেলে এবং স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি। তার বিরুদ্ধে ভালুকায় ডাকাতি, ধর্ষণসহ একাধিক মামলা রয়েছে।

সোমবার দিবাগত রাত সোয়া ১টার দিকে উপজেলার উথুরা ইউনিয়নের হাতিবেড় গ্রামে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।

ভালুকা মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন জানান, গত ১৬ জুন ভালুকার উথুরা ইউনিয়নে এক স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণ করা হয়। এই ঘটনায় দায়ের করা মামলায় সাইফুল এক নম্বর আসামি ছিলেন।

দিবাগত রাত সোয়া ১টার দিকে গোপন সূত্রে পুলিশ জানতে পারে উপজেলার হাতিবেড় গ্রামে একদল ডাকাত ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে ডাকাতদল পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে।

এ সময় আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়ে। গোলাগুলিতে ঘটনাস্থলেই সাইফুল ডাকাত আহত হয়। তাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

এ সময় সাইফুলের সহযোগীরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় আহত হন- ভালুকা মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশ) আবুল কালাম আজাদ, উপ পরিদর্শক ইকবাল হাসান, এএসআই ইউসুফ, কনস্টেবল মেহদী মাসুদ।

পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি পাইপগান ও দেশিয় অস্ত্র উদ্ধার করে। নিহত সাইফুলের মরদেহ ময়মনসিংহ মডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে রাখা হয়েছে।

এ ঘটনায় দুটি মামলার প্রস্তুতি চলেছে। নিহত সাইফুরের বিরুদ্ধে থানায় ডাকাতি ও ধর্ষণসহ একধিক মামলা রয়েছে বলে জানান ওসি।

উল্লেখ্য, গত ১৬ জুন ভালুকা উপজেলার সোনা উল্লাহ স্কুল এন্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে স্কুলে যাওয়ার পথে ওই গ্রামের মৃত জাবেদ আলীর ছেলে সাইফুল ইসলাম (৪০) ও ইয়ার মাহমুদের ছেলে রমজান আলী (৩০) জোরপূর্বক রাস্তার পাশে জঙ্গলে নিয়ে যায়।

এসময় গলায় চাকু ধরে ও এসিড নিক্ষেপের ভয় দেখিয়ে পর্যায়ক্রমে দুজনে তাকে ধর্ষণ করে এবং মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করে।

পরবর্তীতে ২৪ জুন ওই ছাত্রী পরীক্ষা দেয়ার জন্য স্কুলে যাওয়ার পথে ধর্ষণের ভিডিও ফেইসবুকে ও ইন্টারনেট ছেড়ে দেয়ার হুমকী দিয়ে পুনঃরায় ধর্ষণের চেষ্টা করলে সে কৌশলে পালিয়ে যায়।

এ ঘটনায় ভালুকা মডেল থানায় নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা (নম্বর-৬২) হয়েছে। ধর্ষকদের গ্রেফতারের দাবিতে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী ও এলাকবাসীরা দফায় দফায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে