যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনের সঙ্গে নতুন করে বাণিজ্যযুদ্ধ শুরু করায় লাভবান হচ্ছে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত।
এখন মার্কিন কোম্পানিগুলো চীনের অর্ডার বাতিল করে বাংলাদেশ থেকে পোশাক নিচ্ছে। এ সুযোগে বাংলাদেশের অনেক প্রতিষ্ঠানই প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রফতানি করছে।
এতে বাংলাদেশের রফতানি আয় উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। ভবিষ্যতে এ আয় আরও বাড়বে বলে এক প্রতিবেদনে বলেছে ব্লুমবার্গ।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যমটি তাদের বিশ্লেষণধর্মী প্রতিবেদনে বলেছে, বাংলাদেশে ৩০ বছর ধরে পোশাক উৎপাদন করছে নিউএজ গ্রুপ।
প্রতিষ্ঠার পর থেকে কখনই তারা যুক্তরাষ্ট্রের কোনো প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে কাজের অর্ডার পায়নি। চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যযুদ্ধের পর এই প্রথম তারা দেশটির কোনো প্রতিষ্ঠানের কাজ পেয়েছে।
নিউএজ গ্রুপের ভাইস প্রেসিডেন্ট আসিফ ইব্রাহীম বলেন, প্রতিষ্ঠার পর থেকে ইউরোপে পোশাক রফতানি করে আসছেন। প্রথমবারেই তারা বছরে আড়াই কোটি ডলারের পোশাক রফতানি করতে পারবেন বলে আশা করছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি প্রায় ২০০ বিলিয়ন ডলার মূল্যমানের চীনা পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়িয়ে ১০ শতাংশ থেকে ২৫ শতাংশ করা হয়।
এর ফলে চীনে যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক বিপণনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর অর্ডার প্রায় অর্ধেক কমে গেছে। অর্ডারগুলো বাংলাদেশ, ভিয়েতনাম ও মালয়েশিয়ায় দেয়া হয়েছে।
আসিফ ইব্রাহীম বলছেন, চীনে বাতিল হওয়া অর্ডারগুলোর প্রায় ৩০ শতাংশ বাংলাদেশে এসেছে। শুধু তাই নয়, চীনা অনেক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে বিনিয়োগও করতে যাচ্ছে।
- কমিটি থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন ছাত্রলীগের ‘বিতর্কিত নেতারা’
- বিকেন্দ্রীকরণ হবে দেশের শাসনব্যবস্থা : প্রধানমন্ত্রী
- সব সেবা ডিজিটাল হলে দুর্নীতির সুযোগ থাকবে না : জয়
ব্লুমবার্গ বলছে, ২০২৪ সাল নাগাদ পোশাক রফতানি বাবদ ৭২০ কোটি ডলার আয় করতে পারে বাংলাদেশ। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক বলছে, এর অর্থ হচ্ছে চীনের প্রায় ৪১০ কোটি ডলারের অর্ডার বাংলাদেশে ঢুকবে। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতে আরও ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ঘটবে।
এদিকে বাংলাদেশের সরকার ও ব্যবসায়ীরা ইতিমধ্যে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়েছে বলেও উল্লেখ করেছে সংবাদমাধ্যমটি।