বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে প্রকাশ্যে রিফাত শরীফকে হত্যা মামলার ছয় নম্বর আসামি রাব্বি আকনের সাতদিনের এবং মামলার সন্দেহভাজন অভিযুক্ত সাইমুনের চতুর্থ দফায় তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ শুক্রবার বিকেলে বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম গাজী এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও বরগুনা সদর থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) হুমায়ুন কবির বলেন, আদালতে হাজির করে রাব্বি আকনের ১০ দিনের এবং সাইমুনের পাঁচদিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। পরে শুনানি শেষে আদালত রাব্বি আকনের সাতদিনের এবং সাইমুনের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
বরগুনার পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন জানান, আলোচিত রিফাত হত্যা মামলার প্রধান অভিযুক্ত নয়ন বন্ড বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। এছাড়া এ মামলার এজহারভুক্ত ছয়জন এবং সন্দেহভাজন সাতজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এর আগে গত ৯ জুলাই সন্দেহভাজন অভিযুক্ত রাফিউল ইসলাম রাব্বি রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
- আরও পড়ুন >> ইমরান আহমদ মন্ত্রী ও নতুন প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা
১ জুলাই আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় অভিযুক্ত ১১ নম্বর আসামি মো. অলিউল্লাহ অলি ও ভিডিও ফুটেজ দেখে শনাক্ত করা তানভীর একই আদালতে রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
৪ জুলাই রিফাত হত্যা মামলার ৪ নম্বর আসামি চন্দন ও ৯ নম্বর আসামি মো. হাসানও একই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। ৫ জুলাই একই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডের ফুটেজ দেখে শনাক্ত হওয়া ও তদন্তে বেরিয়ে আসা অভিযুক্ত মো. সাগর ও নাজমুল হাসান।
এদিকে এ মামলার দ্বিতীয় আসামি রিফাত ফরাজীর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী গত সোমবার (৮ জুলাই) সকালে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত রামদা উদ্ধার করেছে পুলিশ। আর নয়ন বন্ডের সঙ্গে পুলিশের বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় পুলিশের হত্যা ও অস্ত্র আইনে করা দুটি মামলায় রিফাত ফরাজীকে গ্রেফতার দেখিয়েছে পুলিশ।
এর মধ্য রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় সাতদিনের রিমান্ড শেষে পুলিশের দায়ের করা অস্ত্র মামলায় সাতদিনের রিমান্ডে রয়েছেন রিফাত ফরাজী।
এছাড়া এ মামলার ১২ নম্বর আসামি টিকটক হৃদয় ও সন্দেহভাজন অভিযুক্ত আরিয়ান শ্রাবণ পাঁচদিনের এবং রাতুল সিকদার তিনদিনের রিমান্ডে রয়েছেন।