রুপালী পর্দায় দুই বছরেরও বেশি সময় পরে ফিরলেন হৃতিক রোশন। তাই ‘সুপার থার্টি’ নিয়ে ভক্তদের প্রত্যাশা ছিল অনেক বেশী। কিন্তু ছবি মুক্তির পরে ভক্তদের অনেকেই জানিয়েছেন যে হৃতিক রোশন তাদের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছেন।
হৃতিককে বলা হয় গ্রিক গড। আর তার কারণ হলো তার সবুজাভ চোখ, পেটানো শরীর আর চেহারার কাঠামো। ‘সুপার থার্টি’ ছবিতে ভারতের বিহারের একটি গ্রামের গণিতের শিক্ষক আনন্দ কুমারের চরিত্রে অভিনয় করেছেন হৃতিক।
যে কোনো চরিত্রে তার মানিয়ে নেয়ার ক্ষমতা থাকলেও, এই চরিত্রে যেন কমতি রয়ে গেছে। গরীব পরিবারের ছেলে আনন্দ কুমারের চরিত্রে সিক্স প্যাকের হৃতিককে বেমানান মনে হয়েছে অনেকের কাছেই। সেই সাথে অভিনয়ের চির চেনা ধাঁচ থেকেও যেন বের হতে পারেননি হৃতিক। এমনটাই বলছেন ভারতের শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত ‘সুপার থার্টি’ ছবির রিভিউয়াররা!
ক্যামব্রিজে পড়ার সুযোগ পাওয়া পোস্টমাস্টারের ছেলে আনন্দ কুমার আগাতে পারেননি অর্থের অভাবে। পাপড় বিক্রি করে চলতেন। কোচিং সেন্টারে পড়ানোর সুযোগ পেয়েও শেষ পর্যন্ত ছেড়ে দেন। গরীব বাবা-মায়ের ঘরের যোগ্য ছাত্রদের আইআইটির পরীক্ষায় পাশ করানোর স্বপ্ন নিয়ে নিজের জমা পুঁজি দিয়ে শুরু করেন ‘সুপার থার্টি’ কার্যক্রম। এজন্য তার হারাতে হয় বাবাকে, প্রেমিকাকে। কিন্তু তার বদলে তিনি পান সম্মান। এই গল্পে তৈরি হয়েছে ‘সুপার থার্টি’।
- আরও পড়ুন, শ্রীদেবীর মৃত্যু নিয়ে নতুন তথ্য
আলোচকরা বলছেন, ‘সুপার থার্টি’র চিত্রনাট্য নিঃসন্দেহে ভালো কিন্তু বায়োপিক হিসেবে চলচ্চিত্রটিকে কিছু কিছু জায়গায় আনন্দ কুমারের জীবনকে অতিরঞ্জিত করা হয়েছে। তিন ঘণ্টার এই ছবি দেখতে গিয়ে অনেকেরই ধৈর্যচ্যুতি হবে বলে মনে করছেন সমালোচকরা।
এর আগে হৃতিকের ‘কাবিল’ যা ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসে মুক্তি পেয়েছিল। ছবিটি ব্যবসা সফল হয়েছিল। ট্রেড অ্যানালিস্টদের মতে ‘সুপার থার্টি’ও ভাল ব্যবসা করবে। ছবিটি নাচ গানে ভরপুর কমার্শিয়াল ছবি না। তবে দর্শক এখন ভালো চিত্রনাট্যের ছবি দেখতে পছন্দ করে।
তাই ট্রেড অ্যানালিস্টরা প্রত্যাশা করেছিলেন ছবিটি ওপেনিং-এ ১০-১২ কোটি রুপি ব্যবসা করবে। করেছেও তাই। প্রথম দিনেই ১১ কোটি রুপি আয় করে নিয়েছে ছবিটি। আবার শনি-রবি দুই দিনে আরও আয় বাড়বে। ট্রেড অ্যানালিস্টরা আশা করছেন ছবিটি ১০০ কোটি রুপি বা তারও বেশি আয় করতে পারে। যদিও এর খরচ একশো কোটির বেশী!