বিশ্বের প্রায় সব দেশে থেকেই পবিত্র হজ পালনে যখন ইসলামের তীর্থভূমি মক্কার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছে, ঠিক তখনই হজ বিষয়ে কাতারের ওপর গুরুতর অভিযোগ আনল সৌদি আরব।
সৌদি সরকারের অভিযোগ, হজ পালনে নিজ দেশের নাগরিকদের বাধা দিচ্ছে কাতার। এমনকি হজে যেতে ইচ্ছুক কাতারিদের ওপর দেশটির সরকার বিধিনিষেধ আরোপ করেছে।
আজ রোববার সৌদি হজ ও ওমরাহবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এমনটিই জানাল দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সৌদি প্রেস এজেন্সি।
সৌদি হজ ও ওমরাহবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অভিযোগ, কাতারসহ বিশ্বের অন্যান্য প্রান্তের হজ ও ওমরাহ যাত্রীদের জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিয়েছে সৌদি সরকার। তারপরও কাতারি নাগরিকদের হজ ও ওমরাহ পালনে সৌদিতে আসতে দিচ্ছে না দেশটির সরকার।
তবে সৌদি মন্ত্রণালয়ের এ অভিযোগ ভিত্তিহীন ও বানোয়াট দাবি করে পাল্টা অভিযোগ এনেছে কাতার।
দোহা বলছে, সৌদি আরবই কাতারি নাগরিকের বিরুদ্ধে কড়াকড়ি আরোপ করেছে।
এ বিষয়ে কাতারের আওকাফ ও ইসলামী কল্যাণবিষয়ক মন্ত্রণালয় বলছে, হজ এবং ওমরাহ পালনে ইচ্ছুক কাতারের নাগরিকরা সৌদি আরবের প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হচ্ছেন।
কাতারের এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে সৌদি সরকার জানিয়েছে, পবিত্র হজ নিয়ে যেকোনো ধরনের রাজনৈতিক অপপ্রচারকে উপড়ে ফেলা হবে।
- এক জেনারেলের পতনের মধ্য দিয়ে আরেক জেনারেলের ক্ষমতা দখল
- আমাদের অসমাপ্ত প্রেম : বিদিশা এরশাদ
- বাংলাদেশ-দক্ষিণ কোরিয়া দুই সমঝোতা ও এক নথি সই
কাতারের এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে দেশটি বলছে, কাতারের নাগরিকরা দোহার সরকারি বিমান পরিবহন সংস্থা ছাড়া অন্য বিমান পরিবহন সংস্থার বিমানে করে সৌদিতে হজ এবং ওমরাহ পালনের জন্য আসতে পারবেন।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ৫ জুন কাতারের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন ও মদদ দেয়ার অভিযোগ এনে অবরোধ আরোপ করে সৌদি নেতৃত্বাধীন কয়েকটি দেশ।
এই অবরোধ আরোপের পর থেকে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে টানাপোড়েন শুরু হয়। প্রভাব পড়ে ইসলামের পঞ্চম ভিত্তির একটি পবিত্র হজেও।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে হজ পালনের জন্য প্রায় ১৭ লাখ এবং ওমরাহর জন্য ৮০ লাখ মানুষ সৌদিতে পাড়ি জমাবেন।
ইতিমধ্যে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়াসহ আরও কয়েকটি দেশের প্রায় ৩৭ হাজার হজযাত্রী সৌদিতে পৌঁছেছেন বলে জানিয়েছে সৌদি হজ ও ওমরাহবিষয়ক মন্ত্রণালয়।