মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যা মামলায় সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান পিকে এনামুল করিমের বিরুদ্ধে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে হত্যাকাণ্ডের পর তদন্ত এবং যথাযথ ব্যবস্থা নিতে এনামুল করিমের নিষ্ক্রিয়তার কারণ জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে আদালত।
বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার এ আদেশ দেন।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, জনপ্রশাসন, শিক্ষা সচিব, আইজিপি, ফেনীর জেলা প্রশাসক, ফেনীর পুলিশ সুপার, সোনাগাজী থানার ওসি, দৈনিক সমকাল পত্রিকার সম্পাদককে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ড. ইউনুস আলী আকন্দ। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
গত ৩০ জুন হাইকোর্ট বিভাগে রিটটি করেন আইনজীবী ইউনুস আলী আকন্দ।
প্রসঙ্গত, গত ৬ এপ্রিল ফেনীর সোনাগাজীতে মাদ্র্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি আলিম পরীক্ষা দিতে যান। পরীক্ষার আগে তাকে কৌশলে ছাদে ডেকে নিয়ে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়। ১০ এপ্রিল রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নুসরাত মারা যান।
সরাসরি কিলিং মিশনে অংশ নেয় পাঁচজন। তারা হলো- শাহাদাত হোসেন শামীম, জোবায়ের হোসেন, জাবেদ হোসেন, কামরুন নাহার মণি ও উম্মে সুলতানা পপি।
এ ঘটনায় ৮ এপ্রিল রাতে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলা ও পৌর কাউন্সিলর মুকছুদ আলমসহ ৮ জনের নাম উল্লেখ করে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা করেন অগ্নিদগ্ধ রাফির বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান।