এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় এ বছর পাসের হার ৭৩.৯৩ শতাংশ। এটি গতবারের চেয়ে ৭ দশমিক ২৯ শতাংশ বেশি। গতবার পাসের হার ছিল ৬৬ দশমিক ৬৪ শতাংশ।
এ ছাড়া জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের সংখ্যাও বেড়েছে। এ বছর জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৭ হাজার ২৮৬ জন। গতবার জিপিএ-৫ পেয়েছিল ২৯ হাজার ২৬২ জন। অর্থাৎ এ বছর জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে ১৮ হাজার ২৪ জন।
পরীক্ষার ফল অনুযায়ী, ২০১৯ সালে আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে কেবল উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৭১ দশমিক ৮৫ শতাংশ। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪১ হাজার ৮০৭ জন। অর্থাৎ, ১০ বোর্ডে যতজন জিপিএ-৫ পেয়েছে, এর বেশিরভাগই এইচএসসি পরীক্ষার্থী। মাদ্রাসা ও কারিগরি মিলিয়ে এবার মোট জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৪৭ হাজার ২৮৬ জন।
গতবার আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে গড় পাসের হার ছিল ৬৪ দশমিক ৫৫ শতাংশ। এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছিল ২৫ হাজার ৫৬২ জন। অর্থাৎ, এবার এইচএসসিতে পাসের হার ও জিপিএ-৫ দুটোই বেড়েছে।
অন্যদিকে, এবার মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে আলিম পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৮৮ দশমিক ৫৬ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ হাজার ২৪৩ জন। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি (বিএম) পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৮২ দশমিক ৬২ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ হাজার ২৩৬ জন।
এবার আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ড মিলিয়ে ১০টি বোর্ডের অধীনে মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন ১৩ লাখ ৩৬ হাজার ৬২৯ জন। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৯ লাখ ৮৮ হাজার ১৭২ জন।
আজ বুধবার সকাল ১০টায় বোর্ড চেয়ারম্যানদের সঙ্গে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ফলের সার-সংক্ষেপ তুলে দেন। সচিবালয়ে দুপুর সাড়ে ১২টায় সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে পরীক্ষার ফল বিস্তারিত তুলে ধরবেন শিক্ষামন্ত্রী।