বেনাপোল-ঢাকা-বেনাপোল রুটে আন্তনগর ‘বেনাপোল এক্সপ্রেস’ ট্রেন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে একই দিন ‘বনলতা এক্সপ্রেস’ ট্রেনের বর্ধিত রুটের উদ্বোধনও করেন তিনি।
বুধবার বেলা সোয়া ১২টার দিকে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সবুজ পতাকা উড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী ট্রেন চলাচল উদ্বোধন করেন।
বেনাপোল ট্রেনের সাপ্তাহিক বন্ধের দিন (৭৯৫) বুধবার ও (৭৯৬) বৃহস্পতিবার। ট্রেনটি বেনাপোল থেকে ছাড়বে দুপুর ১টায়, ঢাকায় পৌঁছবে রাত ৯টায় এবং ঢাকা থেকে ছাড়বে রাত ১২টা ৪০ মিনিটে, বেনাপোল পৌঁছবে সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে।
এতদিন বিরতিহীন আন্ত নগর ‘বনলতা এক্সপ্রেস’ ঢাকা-রাজশাহীর মধ্যে চলত; এখন থেকে তা ঢাকা-রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ রুটে চলাচল করবে।
ট্রেনটির উদ্বোধনের জন্য অনুষ্ঠানে বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশন থেকে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সংযুক্ত হতে আগেই যশোর পৌঁছেছেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. শামসুজ্জামান ও বাংলাদেশ রেলওয়ের ক্যারেজ সংগ্রহ প্রকল্পের পরিচালক প্রকৌশলী হারুন-অর-রশিদসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
নতুন ট্রেনে ব্রড গেজ কোচসমূহ এডিবির অর্থায়নে ‘বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য মিটার গেজ ও ব্রড গেজ প্যাসেঞ্জার ক্যারেজ সংগ্রহ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ইন্দোনেশিয়া থেকে সংগৃহীত হয়েছে। দ্রুতগতির এ ট্রেন পরিচালনার ফলে বেনাপোল-ঢাকা-বেনাপোল রুটে চলাচলকারী যাত্রীসাধারণের নিরাপদ আসা-যাওয়া সহজতর, দ্রুততর ও আরামদায়ক হবে।
সংগৃহীত কোচসমূহের অন্যতম নতুন বৈশিষ্ট্য হলো বায়ো-টয়লেট সংযোজন। ট্রেনটিতে প্রতিবন্ধী যাত্রীদের হুইলচেয়ারসহ চলাচলের সুবিধার্থে থাকছে প্রশস্ত দরজা (মেইন ও টয়লেট দরজা) এবং নির্ধারিত আসনের সুবিধা। যাত্রীসাধারণের জন্য আধুনিক ও মানসম্মত চেয়ার, বার্থ, স্টেয়ার, পার্সেল র্যাক, টিভি মনিটর হ্যাংগার, ওয়াই-ফাই রাউটার হ্যাংগার, মোবাইল চার্জারের ব্যবস্থা রয়েছে। ‘বেনাপোল এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি ১২টি কোচ দ্বারা চলবে। ট্রেনটিতে এসি সিট, এসি চেয়ার ও শোভন চেয়ার শ্রেণির সর্বমোট ৮৯৬টি (৭৯৫ নম্বর ট্রেনের ক্ষেত্রে) এবং এসি বার্থ, এসি চেয়ার ও শোভন চেয়ার শ্রেণির সর্বমোট ৮৭১টি (৭৯৬ নম্বর ট্রেনের ক্ষেত্রে) আসনের ব্যবস্থা রয়েছে।