ফেসঅ্যাপ। এই মুহূর্তে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সবচেয়ে আলোচিত নাম। বৃদ্ধ হলে কেমন দেখাবে? – তা জানতে অনেকেই ব্যবহার করছেন এই অ্যাপটি। আর সেই ছবিগুলোই বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে। কিন্তু এ সুযোগে কি ব্যক্তিগত তথ্য চলে যাচ্ছে সুযোগ সন্ধানীদের হাতে? সেই প্রশ্নই উঠেছে নানা মহলে।
শুধু তাই নয়, রুশ মালিকানাধীন এই অ্যাপের মাধ্যমে মার্কিন নাগরিকদের পাশাপাশি দেশটির প্রেসিডেন্ট পদে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের ব্যক্তিগত তথ্যও হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আর বিষয়টি তদন্ত করতে এফবিআই-এর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ডেমোক্র্যাট সিনেট নেতা চাক শুমার।
ট্রাম্প থেকে পুতিন, মেসি থেকে রোনাল্দো, কিংবা হলিউড তারকা লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও থেকে শুরু করে কিয়ানু রিভস – ফেসঅ্যাপ জ্বরে আক্রান্ত সবাই। কেবল নিজেদের ছবি নয়, পছন্দের তারকাদের ছবিতে বৃদ্ধ বয়সের অবয়ব দিয়ে তা ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিচ্ছে মানুষ। আর এভাবেই ভাইরাল ফেসঅ্যাপ।
এবার সেই ফেসঅ্যাপের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নেয়ার। রুশ মালিকানাধীন এই অ্যাপটি ব্যবহার করে মার্কিনদের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের আগামী বছরের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের ব্যক্তিগত তথ্যও হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ ডেমোক্র্যাট সিনেট নেতা চাক শুমারের।
গতকাল বুধবার, এক টুইট বার্তায় তিনি বলেন, অ্যাপটি কেবল দেশের সাধারণ জনগণ নয়, ব্যবহার করছেন প্রেসিডেন্ট পদে মনোনয়ন প্রত্যাশীরাও। আর এভাবেই তাদের ব্যক্তিগত তথ্য শত্রু রাষ্ট্রের হাতে চলে যাচ্ছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা – এফবিআই’র প্রতি আহ্বানও জানান শুমার।
এদিকে, প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অ্যাপটি ব্যবহারের ক্ষেত্রে যেহেতু বেশ কিছু ব্যক্তিগত তথ্য চাওয়া হয়, তাই কি ধরনের তথ্য দেয়া নিরাপদ তা ভেবে দেখা উচিৎ।
একজন বলেন, ‘ফেসঅ্যাপে ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নেয়ার বিষয়টি অনেক আগে থেকেই বলা হয়ে আসছিল, কিন্তু তখন এটি ভাইরাল না হওয়ায় বিষয়টি কেউই তেমন গুরুত্ব দেননি। কিন্তু দেরিতে হলেও, বিষয়টি নিয়ে মানুষ ভাবতে শুরু করেছে যা ইতিবাচক। নিজের বৃদ্ধ বয়সের চেহারা কেমন হবে তা দেখতে মানুষ আগ্রহী হলেও, তার ব্যক্তিগত তথ্য ও ছবি কোথায় যাচ্ছে সেটিও ভেবে দেখা উচিত।’
বিবিসির দেয়া তথ্যমতে, রুশ মালিকানাধীন ফেসঅ্যাপের বর্তমান সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ৮ কোটি। এর আগে, ২০১৭ সালে অ্যাপটির আদিবাসীদের অবয়ব দেয়া একটি ফিল্টার নিয়ে সমালোচনার সৃষ্টি হলে, পরে ফিল্টারটি সরিয়ে নিতে বাধ্য হয় ফেসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ।