মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, হরমুজ প্রণালীতে ঢোকার পর যুক্তরাষ্ট্রের একটি নৌযানকে হুমকি দেয়া হলে ইরানের একটি ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার তিনি এমন ঘোষণা দেয়ার পর উপসাগরীয় অঞ্চলে উত্তেজনা নতুন মাত্রা পেয়েছে।-খবর এএফপি
পারস্য উপসাগরে একের পর এক মারাত্মক ঘটনার পর এই প্রথম সামরিক সংঘাতে জড়াল ওয়াশিংটন। ট্রাম্প বলেন, ইউএসএস বক্সার জাহাজ ইরানি ড্রোনের বিরুদ্ধে আত্মরক্ষামূলক পদক্ষেপ নিয়েছে। কারণ সেটি জাহাজ ও ক্রুদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে দেখা দিয়েছিল।
তিনি বলেন, বক্সারের এক হাজার ইয়ার্ডের মধ্যে চলে আসার পর সেটিকে গুলি করা হয়। ড্রোনটি তাৎক্ষণিকভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে।
‘আন্তর্জাতিক জলপথে নৌযান পরিচালনায় ইরানের বহু উসকানিমূলক ও বৈরী পদক্ষেপের মধ্যে এটি ছিল একটি,’ বললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
- আরও পড়ুন >> তুরস্কে বাস দুর্ঘটনায় বাংলাদেশিসহ নিহত ১৭
তিনি বলেন, আমাদের স্থাপনা, স্বার্থ ও সেনাদের নিরাপত্তার অধিকার রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের। স্বাধীন নৌযান পরিচালনা ও বৈশ্বিক বাণিজ্যিক স্বাধীনতা ব্যাহত করতে ইরানের চেষ্টার নিন্দা জানাতে বিশ্বের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
তবে ইরানের শীর্ষ কূটনীতিক মোহাম্মদ জাভেদ জারিফ সাংবাদিকদের বলেন, আজ ড্রোন হারানোর কোনো খবর তিনি পাননি।
জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেসের সঙ্গে বৈঠক করতে বর্তমানে তিনি সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ে রয়েছেন।
তেহরান একটি বিদেশি তেল ট্যাংকার জব্দের দাবি করার পর এই প্রকাশ্য সংঘাত দেখা দিল। এর আগে পানামার পতাকাবাহী নৌযান রিয়াহ ও তার ১২ ক্রুকে আটকের দাবি জানিয়েছে ইরান। ট্যাংকারটি তেল পাচার করছিল বলে দাবি করা হয়েছে।
বিপ্লবী গার্ডবাহিনীর ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ইরানি নৌকা থেকে অন্য অঞ্চলের বিদেশি জাহাজে নিষিদ্ধ তেল সরবরাহ করছিল ওই ট্যাংকারটি।
পারস্য উপসাগরে কয়েক দফা গুরুতর হামলার পর মার্কিন জাহাজ থেকে এই ড্রোন গুলি করার খবর আসলো।