পাকিস্তানের নিরাপত্তা সংক্রান্ত যে যে আর্থিক সহায়তাগুলি স্থগিত রাখা হয়েছে, সেগুলি স্থগিতই থাকবে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বৈঠকের পরেও অনুদান পাঠানোর রাস্তা খোলার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। সম্প্রতি মার্কিন কংগ্রেসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
খবরে প্রকাশ, আগামী সপ্তাহে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করতে আমেরিকা যাচ্ছেন ইমরান খান। ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরে এই প্রথম কোনো পাক প্রধানমন্ত্রী আমেরিকা সফরে যাচ্ছেন। কিন্তু ইমরান নিজে ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলতে এলেও পাকিস্তানের ত্রাণ-ভাগ্যের শিকে ছিঁড়বে না বলেই মনে করা হচ্ছে।
পাক মাটিতে বেড়ে ওঠা জঙ্গি সংগঠনগুলির মোকাবিলায় এবং পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা খাতে বহু বছর ধরেই আমেরিকা লাখ লাখ ডলার অনুদান দিয়ে আসছে। কিন্তু ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকেই জঙ্গি দমনে কড়া হওয়ার জন্য পাক সরকারের উপরে চাপ বাড়াতে শুরু করেন।
জানা যায়, বেশ কয়েক বার হুঁশিয়ারি দেওয়ার পরে নিরাপত্তা খাতে দেওয়া লক্ষাধিক ডলারের ত্রাণ প্যাকেজ বন্ধ করে দেন গত বছরের শুরুতেই। ইমরান এলেও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সেই সিদ্ধান্ত বদলাবে না বলে ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
- গুজব ছড়িয়ে আইন নিজের হাতে তুলে না নিতে আহ্বান পুলিশের
- বন্যা পরিস্থিতি : ত্রাণ বিতরণে কাজ করবে আওয়ামী লীগের ৬ টিম
গত ১৫ জুলাইয়ের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিভিন্ন ইসলামি জঙ্গি সংগঠনের আঁতুড় ঘর পাকিস্তান। বিভিন্ন সময়ে সেই সব সংগঠনকে আড়ালে বা প্রকাশ্যে সমর্থন জোগাতে দেখা গেছে পাক সরকারকে। যার ফল ভুগতে হয়েছে ভারতের মতো প্রতিবেশি দেশগুলিকে। যদিও নিরাপত্তা অনুদান বন্ধ করে দেওয়ার পেছনে হোয়াইট হাউসের ‘ভুল আফগান নীতি’কেই দায়ী করেছে ইসলামাবাদ।
ইতিমধ্যেই ভারতের মুম্বাই হামলার মূল প্রধান পরিকল্পনাকারী প্রধান হাফিজ সাঈদকে গ্রেপ্তার করেছে পাকিস্তান সরকার। হাফিজের গ্রেপ্তার হওয়া ট্রাম্পের সিদ্ধান্তে কোনো প্রভাব ফেলে কি না, তা এখন দেখার বিষয়।