বর্তমান ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকার এখন জনআতঙ্কে ভুগছে, জনসমাগম দেখলেই জনবিস্ফোরণের আশঙ্কায় শিউরে উঠছে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি দেশের সর্ববৃহৎ জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল। এই দলটির উদ্যোগে সবসময়ই গণতান্ত্রিক আচার-আচরণ অনুসরণের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে সভা-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। অথচ গণধিকৃত আওয়ামী লীগ সরকার বরাবরই বিএনপির শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশগুলোকে পণ্ড করতে প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করে আসছে বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শনিবার বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমাবেশে যোগদানের উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম রওয়ানা হওয়ার সময় তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, গত ১৮ জুলাই বরিশালে বিএনপির উদ্যোগে বিশাল সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে, কিন্তু সেখানে সরকার নানাভাবে বিএনপি নেতাকর্মীদেরকে হয়রানি করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় সরকার চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশকে বানচাল করার সুপরিকল্পিত অংশ হিসেবে সংশ্লিষ্ট বিভাগের বিভিন্ন জেলা বিএনপির নেতাকর্মীদেরকে ভীত সন্ত্রস্ত রাখতে গ্রেপ্তারসহ নানামূখী হয়রানি করছে।
তিনি বলেন, জনগণ নয় বরং আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসন যন্ত্রকে কব্জায় নিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতায় টিকে থাকতে চায় বর্তমান শাসকগোষ্ঠী। তারা বিএনপিসহ দেশের সকল বিরোধী দলগুলোর মূলোৎপাটনের মাধ্যমে নব্য বাকশালী শাসন বলবৎ রেখে জনগণকে শাসন ও শোষণ করতে চায়।
তিনি আরো বলেন, দেশব্যাপী জনগণের মধ্যে আতংক সৃষ্টির জন্য হত্যা, গুপ্তহত্যা, গুম, অপহরণসহ নারী-শিশুদের উপর নির্যাতনের মতো ভয়ংকর মানবতাবিরোধী ঘটনা সংঘটনের পাশাপাশি বিরোধী দলের নেতাকর্মীরা জনগণকে সাথে নিয়ে যাতে বর্তমান দুঃশাসানের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে না পারে সেজন্য তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে গ্রেপ্তারের মাধ্যমে কারাগারে বন্দী করে রাখার মতো অপকৌশলের আশ্রয় নিয়েছে ভোটারবিহীন সরকার।
সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার গণতন্ত্রের মা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারামুক্ত করার মাধ্যমে দেশে হারানো গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে জনগণ এখন রাস্তায় নামার প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে বলেও জানান বিএনপি মহাসচিব।